অলস্পোর্ট ডেস্ক: পিছিয়ে গেল কলকাতা ডার্বি। কথা ছিল ১৯ জুলাই কলকাতা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ডার্বিতে কল্যানী স্টেডিয়ামের মাঠে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও ইস্টবেঙ্গল। আপাতত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডার্বি ১৯ জুলাই করা না গেলেও, পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে , তা ২৬ জুলাই কল্যানী স্টেডিয়ামের মাঠেই হবে। এতে স্বস্তি মিলেছে আইএফএর।
মরশুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে একটা উন্মাদনা তৈরি হচ্ছিল। ঠিক তখনই নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে মাত্র তিনদিন আগে কল্যানীতে ডার্বি আয়োজনের অনুমতি পুলিশ দিতে না চাওয়ায় সংগঠক আইএফএ ও কল্যানী স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ অথৈ জলে পড়েছিল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে মনে হয়েছিল ডার্বি বুঝি আর কল্যানীতে ভবিষ্যতেও করা সম্ভব হবে না। শেষপর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত, সভপতি অজিত ব্যানার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব নবাব ভট্টাচার্য, কল্যানী স্টেডিয়ামের কর্নধার-দক্ষ সংগঠক ডাঃ নীলিমেষ রায়চৌধুরি ঘন ঘন বৈঠক সারার পর বিভিন্ন শর্ত মেনে ডার্বি ১৯ জুলাই করা সম্ভব না হলেও, ২৬ জুলাই কল্যানীর মাঠে ডার্বির নতুন দিন ধার্য করা সম্ভব হয়েছে।
এনিয়ে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্তর প্রতিক্রিয়া, ‘ আমরা চেয়েছিলাম মরশুমের প্রথম ডার্বিটা জাঁকজমকের সঙ্গে হোক। তাই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কোনও সংঘাতে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না। ওরা প্রথমে মনে করেছিল, কল্যানীতে ডার্বি হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। আমরা ওদের বোঝাতে পেরেছি, তেমন কোনও সমস্যা হবে না। সারাদিন দফায় দফায় আলোচনার পর ওরা সেটা মেনেও নিয়েছেন। কিছু শর্ত দিয়েছেন টিকিট বিক্রি ও বন্টন নিয়ে। অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় সমর্থকদের কথা ভেবে ১৯ জুলাইয়ের বদলে ডার্বির দিন পিছিয়ে ২৬ জুলাই করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টাতে কল্যানীর মাঠেই হবে। এখন অনুমতি পেয়ে একদিনের মধ্যে ডার্বি আয়োজনের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া যেত না। দু’দল ফুটবলার, কোচ, সদস্য-সমর্থকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে আমাদের। পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ ডার্বি আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব, যিনি আবার ডার্বি ম্যাচ আয়োজনের অন্যতম সংগঠক, সেই নবাব ভট্টাচার্য জানালেন, ‘ পুলিশ প্রশাসনের কথা মতো কল্যনী স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার দর্শকাসনের থেকে ২০ শতাংশ টিকিট কম ছাড়া হবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। আনুমানিক যে সংখ্যাটা ১২ হাজারের মতো। আর কোনও ফিজিকাল টিকিট বিক্রির জন্য থাকছে না। সব টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। দর্শকরা আগের কথা মতোই গেটে বসানো স্ক্যানারে অনলাইন টিকিট চেক করে মাঠে ঢুকবেন। বাকি সব বিনোদনের ব্যবস্থা একই থাকছে।’
এই সিদ্ধান্তে আইএফএ, কল্যানী স্টেডিয়ামের সংগঠক ও দুই প্রধানের সদস্য-সমর্থকরাও খুশি। তাঁরা আর একটু তৈরি হওয়ার সুযোগ পেলেন ডার্বির উন্মাদনায় মাততে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





