অলস্পোর্ট ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল। স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।এআইএফএফ-এর পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার কাছে জমা দিয়েছেন যে শনিবার কমিটি নতুন করে বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং পক্ষগুলির শুনানির পরে একটি “বিশদ আদেশ” পাস করা হবে। আদালত আনোয়ার এবং তাঁর বর্তমান দল ইস্টবেঙ্গল এবং প্যারেন্ট ক্লাব দিল্লি এফসি-এর প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আরও স্পষ্ট করেছে যে এই বিষয়ে কোনও অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার বিষয়টি বিধি অনুসারে কমিটি বিবেচনা করবে।
বৃহস্পতিবার আনোয়ার ইস্যুতে দিল্লি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। চাওয়া হয়েছিল স্থগিতাদেশ। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপরে যে জরিমানা চাপানো হয়েছে, সেই বিষয়েও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল ক্লাবের তরফে। ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও দিল্লি এফসিও হাইকোর্টে গিয়েছিল এই বিষয়টি নিয়ে। পিছিয়ে নেই আনোয়ার আলিও। তিনি নিজেও আলাদাভাবে পিটিশন জমা দিয়েছেন ন্যায় চেয়ে। ফেডারেশনের কাছেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যেহেতু ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে সে কারণে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্লাব। তিনপক্ষের আবেদন মেনে নিল আদালত। যার ফলে মোহনবাগানের দেওয়া এনওসিও তুলে নিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আনোয়গর মোহনবাগানের প্লেয়ারই থেকে যাবে।
মোহনবাগান এআইএফএফ-এর প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করে খেলোয়াড়ের ইস্টবেঙ্গলে যাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
প্রসঙ্গত, এই মরসুম শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন আনোয়ার আলি। তার আগে তিনি দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন। গত মরসুমটা সাফল্যের সঙ্গেই খেলেছেন। যদিও দীর্ঘ সময় চোটের জন্য বাইরে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এই মরসুমে পুরনো দলকে অন্ধকারে রেখে আনোয়ারের রাইভাল ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভালভাবে নেয়নি মোহনবাগান। তাতে আবার মদদ দিয়েছিল দিল্লি এফসি। এই সবের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় মোহনবাগান। ফেডারেশন সব পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয়, অন্যায়ভাবে ক্লাব বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনোয়ার।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার