অলস্পোর্ট ডেস্ক: ২০০৪-এ শেষ ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। ১৯ বছর পর আবার ফাইনালে ডার্বি ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছে ফুটবল প্রেমীরা। রবিবার আইকনিক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে ডুরান্ড কাপ ২০২৩ ফাইনাল ম্যাচ। তবে সেই ম্যাচের টিকিট একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইচ্ছে থাকলেও অনেক ভক্তই পারবেন না এই খেলার সাক্ষী হতে। এই মুহূর্তে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে রয়েছে অসম্ভব উত্তেজনা এবং সঙ্গে রয়েছে চিন্তা।
এবারের টুর্নামেন্টে ১৯ দিনের মাথায় আবার হতে চলেছে ডার্বি। আগের বার গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সেই ম্যাচেও টিকিট পায়নি অনেক দর্শক। সেবারেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনেকে। সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে ২-১ গোলে মোহনবাগান জেতার পরই ভক্তরা বুঝে গিয়েছিলেন ফাইনালের টিকিট পাওয়া খুব শক্ত হবে। কারণ আবারও ডার্বি। অনেকেই সেমিফাইনালের পরের ভোর ৪টে থেকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল মাঠের বাইরে হাজির হয়েছিলেন। এটাই হয়তো আমাদের কলকাতার ফুটবলের আবেগ, ভালবাসা। যার তুলনা কিছুর সঙ্গেই হয় না।
ডুরান্ড কমিটি থেকে জানানো হয়েছিল ফাইনালের টিকিট দেওয়া হবে তিনদিন। ১ এবং ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হবে। এবং ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত দেওয়া হবে টিকিট। সেকেন্ড সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার পর এই খবর দিতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেনি ডুরান্ড কমিটি। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ব্যানার দিয়ে টিকিটের খবর জানান তাঁরা। বলা হয়েছিল টিকিট আছে মোট ৩০০০০। যার মধ্যে ১৫০০০ করে টিকিট পাবে দুই দল।
টিকিট বিক্রির প্রথম দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর বিকেলেই উভয় তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে আর একটাও টিকিট অবশিষ্ট নেই ভক্তদের দেওয়ার জন্য। কাজেই যারা ভেবেছিলেন পরের দিন গিয়ে টিকিট কাটবেন তাঁরা আর পেলেন না টিকিট। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরেছেন বহু সমর্থক।
সারাদিন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল মাঠে বহু মানুষকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই লাইন এগোচ্ছিল খুবই ধীর গতিতে। কিন্তু অনেককে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। কলকাতায় এই মুহূর্তে আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ। কখনও প্রবল গরম আবার কখনও প্রবল বৃষ্টি। তাঁর মধ্যে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। লাইনের শুরু মোহনবাগান মাঠের সামনে হয়ে শেষ ছিল প্রায় ইডেন গার্ডেনের কাছে। হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল একটা ডার্বির টিকিটের অপেক্ষায়।
তবে এটা অনেকেই মনে করছেন প্রস্তাবিত সংখ্যক টিকিট দেওয়া হয়নি ভক্তদের হাতে। টিকিট বিক্রির প্রথম দিনই রবিবারের ম্যাচ হাউস্ফুল ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পরেন বহু সমর্থক। হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে আবার মনে করছেন তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। কিছু ভক্ত এখনও কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন, আবার অনেকে দুঃখে রয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের সব থেকে বড় ম্যাচ দেখতে না পাওয়ার। কেন অনলাইনে টিকিট দেওয়া হল না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি ডুরান্ড কাপ কমিটি। তবে এত দ্রুত টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার