অলস্পোর্ট ডেস্ক: দলবদলের বাজারে প্রতিবারের মতো এ বারেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তবে পাশাপাশি তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এফসি-ও কিন্তু এ বার বেশ ভাল দল গড়ে নিয়েছে। তার প্রতিফলন তাদের পারফরম্যান্সেও পড়েছে মরশুমের শুরু থেকেই। মোহনবাগান শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেলেও চলতি ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল তো শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। রবিবার দুই দলই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে। এ বারের দলবদলে দুই ক্লাবের সেরা নিয়োগদের নিয়েই এই প্রতিবেদন।
আর্মান্দো সাদিকু, সেন্টার ফরোয়ার্ড, আলবানিয়া, মোহনবাগান এসজি
২০১৬-র ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে আলবানিয়ার হয়ে ঐতিহাসিক গোল করেছিলেন যিনি। সেই সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু এ বার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে। সেই ঐতিহাসিক গোলেই রোমানিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয় পায় আলবানিয়া। লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব এফসি কার্তাগেনা থেকে তাঁকে দু’বছরের চুক্তি করে নিয়ে এসেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গতবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিমিত্রিয়স পেট্রাটসকে স্ট্রাইকারে রূপান্তরিত করে দলকে হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন কোচ ফেরান্দো। সারা মরসুমে দলের গোলের সংখ্যা অপ্রত্যাশিত ভাবে কম হয়েছিল। সেই জন্যই সম্ভবত এ বার এই বিশেষজ্ঞ সেন্টার ফরোয়ার্ডকে দলে নিয়ে এসেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। কলকাতার দলের হয়ে এর মধ্যে তিনি গোলের খাতা খুলে ফেলেছেন। এএফসি কাপের প্লে অফে আবাহনী লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম গোলটি করেন।
৩২ বছর বয়সী এই ছ’ফুট উচ্চতার ফরোয়ার্ড গত মরশুমে লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশনে ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন ও আটটি গোল করেছেন। কোপা দেল রে-তেও তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি। দেশের হয়ে ৩৮টি ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন তিনি। তিনটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। স্পেনের ক্লাব ফুটবলে ইউডি লা পালমা, লেভান্তে, মালাগা সিএফ-এর হয়ে খেলেছেন সাদিকু। এ ছাড়াও সুইজারল্যান্ডের এফসি জুরিখ, এফসি লুগানোর হয়ে ও পোল্যান্ডের লেগিয়া ওয়ারজাওয়ার হয়েও খেলেছেন তিনি।
জেসন কামিংস, সেন্টার ফরোয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়া, মোহনবাগান এসজি
মোহনবাগান এসজি তিন বছরের চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ান গোলমেশিনের সঙ্গে। যিনি এর মধ্যেই চার গোল করে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে। এ-লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলে ২০২২-২৩ মরশুমে ২৯টি ম্যাচে ২১টি গোল করেন ও ছ’টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। লিগের চারটি ম্যাচে জোড়া গোল করেন কামিংস এবং ফাইনালে মেলবোর্ন সিটি-র বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৬-১-এ জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্যও করেন। এই ক্লাবের হয়ে মোট ৫০টি ম্যাচ খেলে ৩১টি গোল করেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছেন ১২টি গোলে। ক্লাব ফুটবলে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশোরও বেশি ম্যাচ খেলে ১৪৫টি গোল ও ৪৮টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর।
অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবে খেললেও তাঁর জন্ম স্কটল্যান্ডে ও পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপ ক্লাব হিবারনিয়ান এফসি-র হয়ে খেলে। ওখানেই পেশাদার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটান তিনি। এর পরে ইংল্যান্ডের নটিংহাম ফরেস্ট, স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্স, ইংল্যান্ডের পিটারবোরো ইউনাইটেড, লুটন টাউন, শ্রুসবেরি টাউন এবং স্কটল্যান্ডের ডানডি এফসি-র হয়ে খেলার পরে চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায় ও সেন্ট্রাল কোস্টে যোগ দেন। ২০২১-২২-এ অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবে আসার পরই তিনি সে দেশের জাতীয় দলে ডাক পান ও বিশ্বকাপের দলেও ডাক পান। কাতারে বিশ্বকাপে যদিও শুধু ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে ৩৪ মিনিট মাঠে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, নিজের জাত চিনিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ২৭ বছর বয়সী কামিংস।
হাভিয়ে সিভেরিও, সেন্টার ফরোয়ার্ড, স্পেন, ইস্টবেঙ্গল এফসি
গত মরশুম পর্যন্ত হায়দরাবাদ এফসি-তে খেলার পর এ বছর ইস্টবেঙ্গল এফসি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হাভিয়ে সিভেরিও। মরশুমের শুরুতেই তিনি লাল-হলুদ বাহিনীর আক্রমণ বিভাগকে যথেষ্ট শক্তিশালীও করে তুলেছেন। ডুরান্ড কাপে দু’টি গোলও করেছেন ইতিমধ্যেই।
গত মরশুমে তিনি হায়দরাবাদের হয়ে ন’টি গোল করেন। তার আগেরবার হিরো আইএসএলে হায়দরাবাদের চ্যাম্পিয়ন দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। গতবারের হিরো সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ওডিশা এফসি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ক্রেসপো। হিরো আইএসএলের প্লে অফে দলকে উঠতেও সাহায্য করেন তিনি।
২০২১-এ স্পেনের লা পালমা আতলেটিকো থেকে হায়দরাবাদে যোগ দেন সিভেরিও। স্পেনের রেসিং সানতান্দার ও তাদের বি দল, লা পালমার বি দলের হয়েও খেলেছেন ২৫ বছর বয়সী এই সেন্টার ফরোয়ার্ড। হিরো আইএসএলে ৪৫টি ম্যাচে ১২টি গোল রয়েছে তাঁর। গতবার ২০টি ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করেন দেশের সেরা লিগে। হিরো সুপার কাপে তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেন। মরশুমের শেষ টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন তিনি। এ বার সেই ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়েই মাঠে নামছেন।
বোরহা হেরেরা, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, স্পেন, ইস্টবেঙ্গল এফসি
গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে খেলার পর এ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে খেলছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা গঞ্জালেস। এ বছর মে মাসেই হায়দরাবাদের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় তাঁর। ফলে কোনও ট্রান্সফার ফি ছাড়াই বোরহাকে এক বছরের চুক্তিতে পেয়ে যায় কলকাতার ক্লাব।
গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি-র টানা দ্বিতীয়বার হিরো আইএসএল সেমিফাইনালে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বোরহার। নিজামের শহরের দলের হয়ে চারটি গোল করেন ও পাঁচটি গোল করান এই স্প্যানিশ তারকা। হিরো আইএসএলে সব মিলিয়ে ৩২টি গোলের সুযোগও তৈরি করেন তিনি।
হিরো আইএসএলে ২২টি ম্যাচের পাশাপাশি ডুরান্ড কাপ ও হিরো সুপার কাপেও আরও আটটি ম্যাচ খেলেন তিনি। এই দুই টুর্নামেন্টেও পাঁচ গোল ও ন’টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। যথেষ্ট কার্যকরী মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। শুধু আক্রমণে নয়, প্রয়োজনে তিনি যে রক্ষণাত্মক ভূমিকাতেও সমান তৎপর, তার প্রমাণও দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁকে পেয়ে বেশ খুশি লাল-হলুদ শিবির।
সহাল আব্দুল সামাদ, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, মোহনবাগান এসজি
দলবদলের বাজারে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে জুলাইয়ে এক বড়সড় চুক্তি করে ফেলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সহাল আব্দুল সামাদকে নিয়ে আসে তারা। মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি ও গত মরশুমের অধিনায়ক প্রীতম কোটালের পরিবর্তে সহালকে পায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। পাঁচ বছরের চুক্তিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে এসেছে ভারতীয় ফুটবলের এই ‘পোস্টার বয়’।
বিদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা কান্নুড়ের এই তরুণ মিডফিল্ডার এ দিনই মোহনবাগানের চুক্তিপত্রে সই করার সিদ্ধান্ত নেন। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য সহাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ছাড়াও খেলতে পারেন উইঙ্গার হিসেবেও। দু’বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের হয়ে খেলা এই তারকা মিডফিল্ডারের গোল করার দক্ষতাও একই রকম।
গত মরশুমে হিরো আইএসএলে তিনি কুড়িটি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেন ও দু’টি গোলে সহায়তা দেন। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন। হিরো আইএসএলে এ পর্যন্ত ৯২টি ম্যাচে ১০টি গোল করেছেন তিনি। এছাড়াও হিরো সুপার কাপে তিনটি ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোল করেছেন তিনি। সম্প্রতি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে একটি গোল করেন তিনি। তবে গোল করার চেয়ে গোলের সুযোগ তৈরিতে তিনি বেশি পারদর্শী।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ক্লাব আল এতিহাদ অ্যাকাডেমিতে চার বছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে কেরল ব্লাস্টার্সে যোগ দেন তিনি। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ৩০টি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেছেন তিনি। তিনি যোগ দেওয়ায় সবুজ-মেরুন বাহিনীর মাঝমাঠের শক্তি যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আনোয়ার আলি, সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, মোহনবাগান এসজি
ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি এ বার যোগ দিয়েছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে। তাঁকে এখন নিয়মিত দেখা যাচ্ছে সবুজ-মেরুন জার্সিতে। পাঞ্জাব থেকে উঠে আসা ২২ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সম্প্রতি ভারতীয় দলের রক্ষণে তো বড় ভরসা হয়ে উঠেছেনই, সবুজ-মেরুন শিবিরেও তিনি এখন অন্যতম বড় ভরসা। সন্দেশ ঝিঙ্গনের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি যেমন ভারতীয় দলের রক্ষণে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্সও দেখান, তেমনই হেক্টর ইউস্তে ও ব্রেন্ডান হ্যামিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ক্লাব ফুটবলেও দুর্দান্ত খেলছেন। মোহনবাগানের হয়ে তিনটি গোলও করে ফেলেছেন, তিনটিই হেডে।
গত মরশুমে দিল্লি এফসি থেকে লোনে তিনি এফসি গোয়ার হয়ে খেলেন এবং আইএসএলেও নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্স দেখান। আইএসএলে এফসি গোয়ার জার্সি গায়ে কুড়িটি ম্যাচ ও সুপার কাপে দু’টি ম্যাচ খেলেন তিনি। দেশের সেরা ফুটবল লিগে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ তাঁকে জাতীয় শিবিরে ডেকে নেন এবং নিয়মিত প্রথম এগারোয় খেলানও। গত বছর মে-তে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পরে ভারতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর এবং দলের হয়ে একটি গোলও করেন এই সুযোগসন্ধানী ডিফেন্ডার।
নন্দকুমার শেখর, লেফট উইঙ্গার, ইস্টবেঙ্গল এফসি
গত জুনেই উইঙ্গার নন্দকুমার শেখরকে ওডিশা এফসি থেকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তিন বছরের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে কলকাতার ক্লাব। গত মরশুমে ওডিশা এফসি-র হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান তামিলনাড়ু থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার। এ মরশুমও শুরুটা দারুন করেছেন তিনি। চলতি ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে সাড়ে চার বছর পর ডার্বি জেতানো গোল করেন তিনি। সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পর তাঁর গোলেই সমতা আনে ইস্টবেঙ্গল।
গত বছর আইএসএলে ছ’টি গোল করেন ও একটিতে অ্যাসিস্ট করেন নন্দকুমার। সুপার কাপেও পাঁচটি ম্যাচে চারটি গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন তিনি। একটিতে জোড়া গোল ছিল তাঁর। মূলত লেফট উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ফাটল ধরিয়ে গোল করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ফুটবলারকে এই মরশুমে হয়তো নিয়মিতই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যাবে।
২৭ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার গত মরশুমে ওডিশার ৯৫ শতাংশ ম্যাচেই খেলেন এবং ১৪টি গোলে অবদান রাখেন। নিজে ১১টি গোল করেন তিনি। গত বছর হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তিনি ভারতীয় স্কোরারদের তালিকায় ছিলেন তিন নম্বরে। সুপার কাপে ছিলেন এক নম্বর ভারতীয় গোলদাতা। এই টুর্নামেন্টে দলের খেতাব জয়ে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নন্দকুমারের এই পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে ভারতীয় দলেও ডাকেন কোচ ইগর স্টিমাচ।
মন্দার রাও দেশাই, লেফট ব্যাক, ইস্টবেঙ্গল এফসি
ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার মন্দার রাও দেশাইকে শুধুমাত্র এই মরশুমের জন্য পেতে চলেছে লাল-হলুদ বাহিনী। হিরো আইএসএলে একশো ম্যাচ খেলা প্রথম ভারতীয় ফুটবলার আগামী মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চান। ভারতীয় দলে খেলা ৩১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার বলেন, “ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়া আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ক্লাব আমাকে যে ভাবে চাইবে সে ভাবেই নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কোচ কার্লস দুর্দান্ত ট্যাকটিশিয়ান ও চমৎকার মানুষ। তাঁর অধীনে খেলার সুযোগ ফের পাচ্ছি, এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার”। এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাবে খেলবেন তিনি। গত মরশুমে মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে সারা মরশুমে ১৬টি ম্যাচ খেলেন তিনি। যে কোনও দলের পক্ষে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য তিনি। তবে মরশুমের শুরু থেকেই চোট-আঘাত সমস্যায় পড়েছেন তিনি। সারা মরশুম কী ভাবে নিজেকে চোটমুক্ত রেখে খেলে যেতে পারেন, সেটাই দেখার।
(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার