Wednesday, January 22, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeফুটবলপিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাক, কেরালা থেকে জয় নিয়ে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল

পিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাক, কেরালা থেকে জয় নিয়ে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল

অলস্পোর্ট ডেস্ক: নক আউট কঠিন তা খুব ভাল করেই জানেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার মধ্যে কার্ড সমস্যায় তাঁকে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল মোহনবাগান কোচ হাবাসকে ছাড়া ঘরের মাঠে কতটা নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। সেই একটা আতঙ্ক কাজ করছিলই লাল-হলুদ ভক্তদের মধ্যে। কিন্তু সব ভয়কে জয় করে কঠিন কেরালার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। যদিও ঘরের মাঠে খেলাটা শুরু করেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সই। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিটাই ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার বদলে ১-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করার পর ম্যাচ শেষ করে ৪-২ গোলে জিতে। এটাও হত না যদি না সেমসাইড করে বসতেন হিজাজি মেহের।

বুধবার ম্যাচের শুরু থেকেই ফাউল এবং চোটের জন্য বার বার ম্যাচ থমকে যায়, যা শেষ পর্যন্ত চলে। যার মানে শুরু থেকেই হাড্ডহাড্ডি লড়াই দিয়েই শুরু করে দুই দল। ফাউল, ফ্রি-কিক, কর্নরের আধিক্য অনেকটাই বেশি ছিল প্রথম থেকে। শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। কখনও ক্রেসপো তো কখনও ক্লেটন বা মহেশ। কিন্তু প্রথমে গোল তুলে নেয় কেরালাই। ম্যাচের ২২ মিনিটে হোম টিমকে এগিয়ে দেন ফেডর সেরনিচ। বক্সের সেন্টার থেকে তাঁর ডান পায়ের শট বাঁদিকের কোণা দিয়ে ঢুকে যায় গোলে। তার আগে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলে একাধিক গোলের সুযোগ আটকে গিয়েছে।

গোল করে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই বড় ধাক্কা খায় কেরালা ব্লাস্টার্স। জোড়া হলুদ কার্ড দেখে ৪৪ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় জিকসন সিংকে। প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেছিলেন ২৮ মিনিটে। এর পরই কেরালা গোলকিপার করনজিত সিং ফাউল করে বসেন বিষ্ণুকে। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে ১-১ করেন সল ক্রসপো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যালেকজান্ডার প্যান্টিচকে তুলে ভিক্টর ভাজকুয়েজ ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুল হরমনজ্যোত খাবরাকে নামিয়ে খেলায় অভিজ্ঞতা বাড়ানর চেষ্টা করেন সহকারি কোচ বিনো জর্জ।

৬৫ মিনিটে বিষ্ণুকে তুলে অমন সিকে-কে নামাতেই মাঝমাঠ থেকে বলের সাপ্লাই বড়ে অ্যাটাকিং থার্ডে। ৭০ মিনিটে ২-১ করে ইস্টবেঙ্গল। আবারও সেই সল ক্রেসপো। বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের শট চলে যায় গোলে। বাঁ দিক থেকে বক্সের মধ্যে গোলের বলটি সাজিয়ে দিয়েছিলেন অমন। ম্যাচের বয়সতখন ৭০ মিনিট। হাতে আরও ২০ মিনিট। এক গোলের ব্যবধান যে যথেষ্ট নয় সেটা খুব ভাল করেই জানতেন ফুটবলাররা। তাই পর পর গোলের জন্য ঝাঁপাতে দেখা যায় তাঁদের।

৮১ মিনিটে ৩-১ করেন নাওরেম মহেশ। ক্লেটনের পাস থেকে মহেশের ডান পায়ের শট চলে যায় গোলে। তার পরই বড় ভুল করে বসেল লাাল-হলুদ ডিফেন্ডার হিজাজি মেহের। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন তিনি। সেম সাইড গোলে ব্যবধান (৩-২) কমায় কেরালা। তবে ৮৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করেন মহেশ। ভাজকুয়েজের থেকে বল ধরে তিনি কিছুটা সময় নেন ঠিকই তবে গোলের পরে বোঝা যায় আসলে দুরত্বের মাপটা বুঝে নিচ্ছিলেন। তাঁর বাঁ পায়ের শট বক্সের বাঁ দিকের মাথা ছুঁয়ে চলে যায় গোলে। এর পর ইস্টবেঙ্গলের তরফে পর পর আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে কেরালা রক্ষণ। ব্রাউনের শট পোস্টে লাগে। তবে আর গোল হয়নি। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে থাকল ইস্টবেঙ্গল এফসি।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments