অলস্পোর্ট ডেস্ক: এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের হোম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের এফকে আর্কাদাগের কাছে হারার পরেও আশা ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল এফসি-এর প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। তাঁর আশা, আগামী বুধবার আর্কাদাগের মাঠে নেমে জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করবে তাঁর দল।
গত রাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথমার্ধে ইয়াজগিলিচ গুরবানভের একমাত্র গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়, যেখানে তুর্কমেনিস্তানের দলটির বিপক্ষে লড়াই করেও ওই এক গোলে হেরে যায় লাল-হলুদ বাহিনী। কলকাতার দল সাহসী প্রচেষ্টা করলেও ফিনিশিং-এর অভাবে তারা গোলের সন্ধান পায়নি।
ব্রুজোঁর দল দুই অর্ধেই কয়েকটি আক্রমণাত্মক সুযোগ তৈরি করলেও ফাইনাল থার্ডে কার্যকারিতা কম থাকায় গোল করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, এফসি আর্কাদাগ দুর্ভেদ্য রক্ষণের প্রাচীর তুলে দিয়ে এক গোলের ব্যবধান ধরে রাখে। গোলরক্ষক চারিয়েভ রাসুলের একাধিক অনবদ্য সেভ এবং রক্ষণে সাপারভ ও বাশিমভের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ এফসি আর্কাদাগকে জয় এনে দেয়।
ব্রুজোঁ তাঁর দলের একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য আক্ষেপ করেন। সল ক্রেসপো এবং মেসি বৌলির সুবাদে কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও তারা সমতাসূচক গোল করতে পারেননি। ম্যাচের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হলেও দ্বিতীয় লেগের জন্য ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে চান তিনি।
বুধবার ম্যাচের পর সাংবাদিকদের ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, “আমরা যে ফলাফল চেয়েছিলাম তা পাইনি। তবে পারফরম্যান্স আশাজনক ছিল। এখনও ৯০ মিনিট বাকি আছে। আজ পার্থক্যটা ছিল কার্যকারিতায়। বক্সের মধ্যে আমাদের আরও ভাল করতে হবে। ওরা (আর্কাদাগ) দুই-তিনটে সুযোগ তৈরি করেছিল এবং সেগুলোর সদ্ব্যবহার করেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি— ভেতরের পাস, সেট-পিস, ক্রস— সবকিছু চেষ্টা করেছি। কিন্তু গোল আসেনি। এখনও ৯০ মিনিট বাকি আছে এবং ড্রেসিং রুমের আবহ অসাধারণ। আমাদের কাজ হল, অ্যাওয়ে ম্যাচে শুরুতে গোল করা”।
প্রতিপক্ষ যে বাড়তি শক্তিশালী, তা স্বীকার করে নেন অস্কার এবং তাঁর খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যহীন ভুল কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন, যাতে পরবর্তী ম্যাচে ইতিবাচক ফল অর্জন করা যায়। তবে, স্প্যানিশ কোচ বিশ্বাস করেন যে, ইস্টবেঙ্গল এফসি যে সুযোগগুলো তৈরি করেছিল, সেগুলো যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
তিনি বলেন, “এটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নয় এবং সত্যি বলতে, আমি মনে করি এটা আমাদের প্রাপ্য ফলাফলও নয়। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, এটা এমন এক প্রতিযোগিতা, যেখানে ছোট ছোট বিষয়গুলোর অনেক বড় ভূমিকা আছে। আমরা বিল্ড-আপে পিছিয়ে ছিলাম এবং ওরা যেসব সুযোগ তৈরি করেছে, তা আমাদের ডি-বক্সের কাছাকাছি ছিল। আমরা ওদের গতি ও শুটিং দক্ষতা কী রকম, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি”।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তুর্কমেনিস্তানে আর্কাদাগের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। অস্কার আত্মবিশ্বাসী যে, তারা প্রতিপক্ষের মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে এবং পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে।
“আমাদের সামনে তুর্কমেনিস্তানে ৯০ মিনিট আছে। এখন ওদের ভাবতে হবে যে ওরা এই ফলাফল ধরে রাখতে চায়, নাকি নিজেদের হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে চায়। আমাদের পরিকল্পনা থাকবে সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা এবং প্রথম গোলটি করার চেষ্টা করা,” বলেন লাল-হলুদ কোচ।
এর সঙ্গে যোগ করেন, “যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল আরও বাড়বে এবং আমরা এই কোয়ার্টার-ফাইনাল জেতার চেষ্টা করব। ঘরের মাঠে এই ফলাফল খারাপ মনে হলেও, এটি আমাদের জন্য সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। আমরা শুরুতেই সর্বশক্তি দিয়ে প্রথম গোলের জন্য ঝাঁপাব। আবারও বলছি, ফলাফল আমাদের পক্ষে যায়নি, তবে আমরা এখনও যোগ্যতা অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব”।
(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার