অলস্পোর্ট ডেস্ক: দু’দিন আগেই আনোয়ার আলি ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি। যেখানে আনোয়ারকে চার মাসের জন্য নির্বাসনের পাশাপাশি মোহনবাগানকে বড় অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। যেটা মূলত ইস্টবেঙ্গলকেই দিতে হবে। এর সঙ্গে পরবর্তী দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি কোনও প্লেয়ার নিতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছিল সেই রায়ে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তার পর থেকেই আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল ক্লাব। বৃহস্পতিবার সেই মতো প্রথম পদক্ষেপটি নিয়ে ফেলল দুই ক্লাব ও আনোয়ার।
আনোয়ার ইস্যুতে দিল্লি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তাদের দাবি পুরো বিষয়টির উপরে যেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উপরে যে জরিমানা চাপানো হয়েছে, সেই বিষয়েও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ক্লাবের তরফে। ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও দিল্লি এফসিও হাইকোর্টে গিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে। পিছিয়ে নেই আনোয়ার আলিও। তিনি নিজেও আলাদাভাবে পিটিশন জমা দিয়েছেন ন্যায় চেয়ে। ফেডারেশনের কাছেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যেহেতু ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে সে কারণে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ক্লাব।
প্রসঙ্গত, এই মরসুম শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন আনোয়ার আলি। তার আগে তিনি দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন। গত মরসুমটা সাফল্যের সঙ্গেই খেলেছেন। যদিও দীর্ঘ সময় চোটের জন্য বাইরে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এই মরসুমে পুরনো দলকে অন্ধকারে রেখে আনোয়ারের রাইভাল ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভালভাবে নেয়নি মোহনবাগান। তাতে আবার মদদ দিয়েছিল দিল্লি এফসি। এই সবের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় মোহনবাগান। ফেডারেশন সব পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয়, অন্যায়ভাবে ক্লাব বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনোয়ার।
বৃহস্পতিবার আইএসএল ২০২৪-২৫-এর প্রথম ম্যাচ খেলতে উড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। নির্বাসন থাকায় সেই দলের সঙ্গে যেতে পারেননি আনোয়ার। তিনি কবে খেলতে পারবেন তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে যাওয়ার আগে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলে দেন, “আনোয়ার আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ওর বিষয়ে বাকি সিদ্ধান্ত ক্লাব অফিসিয়ালরা নেবে।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার