সুচরিতা সেন চৌধুরী: আইএসএল ২০২৪-২৫-এর দ্বিতীয় ডার্বি খেলতে নামার আগে লিগ টেবলের দিকে তাকালে দেখা যাবে এই ডার্বি একের সঙ্গে ১১-র লড়াই। এক কথায় অসম লড়াই তো বটেই। তবে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে কোনও হিসেব চলে না। সেটা মনে করিয়ে দিলেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। তবে এই ম্যাচ ঘিরে যে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে সর্বত্র তাতে গা ভাসাতে রাজি নন সবুজ-মেরুন কোচ। বরং ভরসা রাখছেন দলের পেশাদারিত্বের উপরই। আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই একজন পেশাদার কোচ হিসেবেই এই ডার্বিকে দেখছেন তিনি। বলছেন, “আমাদের সবার আবেগ রয়েছে। কিন্তু আমরা পেশাদার। আমার কাজ পেশাদার কোচ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাহলেই আমার সিদ্ধান্তগুলো ভাল হবে। ফ্যান হিসেবে নয়, তাই আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।”
তা বলে কি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ নিয়ে আবেগকে লুকিয়ে রাখতে পারলেন তিনি? তার প্রতিটি শব্দেই ছিল আবেগ। যে কোনও প্রতিপক্ষ একদিকে, ইস্টবেঙ্গল অন্যদিকে। তাই হয়তো বার বার করে ফিরে এল সমর্থকদের কথা। যাঁদের সম্বল শুধু আবেগ। যাঁরা ঘরের মাঠে এবার ডার্বি দেখতে পারছেন না। তাতে হতাশা রয়েছে কোচের। কিন্তু গুয়াহাটির মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট তুলে নিতে চাইছেন মোহনবাগান কোচ। আর সেটাই হবে সমর্থকদের জন্য কোচের উপহার।
কোচ বলছিলেন, “আমি জানি ম্যাচ গুয়াহাটিতে হবে। তাই ফ্যানরাও কলকাতার মতো সেখানে যেতে পারবে না। তবে আমার আশা কিছু সমর্থক সেখানে আমাদের সমর্থন করতে যাবে। তাই আমাদের ফ্যানদের খুশি করার জন্য আমাদের জিততে হবে। সব ম্যাচের মতো এই ম্যাচ থেকেও আমাদের তিন পয়েন্ট পেতে হবে। এটা এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, সমান ভাবে বাকি সব ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আমি একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবি। তার পর কী আছে সেটা এটা শশেষ হে ভাবব।’‘
তবে সব কিছুর পরেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য শ্রদ্ধার কথাই সোনা গেল তাঁর গলায়। কখনওই তিনি ডার্বির প্রতিপক্ষকে তাঁদের থেকে পিছিয়ে রাখছেন না। বরং বলছেন, “আমার কোনও ভাবেই মনে হয় না ওরা আমাদের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। যদি পয়েন্ট টেবল দেখি তাহলে হ্যাঁ, আমরা এগিয়ে রয়েছি আর ওরা ১১। কিন্তু মাঠের ৯০ মিনিট সবাই সমান।” প্রতিপক্ষ দল সম্পর্কে খুব বেশি মন্তব্য করতে চান না কখনও। তবুও এদিন ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল কোচ নতুন এসেছিলেন। তার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। এতদিন দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। একসঙ্গে অনুশীলন করছে। সব মিলিয় আগের ডার্বি থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তারা।”
এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, “আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমার দল। অন্য দল কী করছে তা নিয়ে ভাবছি না যখন আমার কাছে আমার প্লেয়াররা রয়েছে। তবে এটা ঠিক, প্রতিপক্ষকে জানতে হয় গেম প্ল্যান তৈরির জন্য। আমরা ৯০ মিনিট ১০০ শতাংশ দিয়ে খেলব। আমরা ওদের হারাতে পারি।” যদিও দলের একাধিক প্লেয়ার চোট-আঘাতে জর্জরিত। অনিরুদ্ধ থাপা, আশিক কুরুনিয়ানের চোট নিয়ে ভাবতে নারাজ মোলিনা। কারও চোট নিয়েই ভাবতে নারাজ তিনি। বরং বলছেন, “আমি তো সব সময়ই চাই আমার দলের সবাই সব সময় তৈরি থাকুক খেলারর জন্য। তবে ফুটবলে চোট-আঘাত থাকবেই। সেটা নিয়ে ভাবার কিছু নিয়ে। আমার হাতে যথেষ্ট প্লেয়ার রয়েছে পরিবর্ত হিসেবে।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার