অলস্পোর্ট ডেস্ক: হার যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গল এফসির। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একটা দলকে সফল্যের পথে ফিরিয়ে আনাটা অনেকবেশি চালেঞ্জিং, নতুন দল গড়েপিঠে নেওয়ার থেকে। এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল এফসির যা অবস্থা তাতে কার্লেস কুয়াদ্রাত পরবর্তী সময়ে যেই দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিক না কেন তাঁর জন্য কাজটা সহজ হবে না। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জ। তাঁর দায়িত্বে শনিবার প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল জামশেদপুরের মাটিতে জামশেপুরের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের নিরিখে অনেকটাই পার্থক্য ছিল। ম্যাচের পর তা আরও দীর্ঘ হল। গোল মিস, গোল হজম সঙ্গে দোসর সেমসাইড। চার ম্যাচে পয়েন্টের ভাড়ার শূন্যই থেকে গেল লাল-হলুদ শিবিরের।
তিন ম্যাচে দুটো জয় এবং একটি হার নিয়ে লিগ টেবলের তিন নম্বরে থেকেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি। সেখানে ইস্টবেঙ্গল দাঁড়িয়ছিল টেবলের শেষে। তিন ম্যাচে তিনটেই হেরে অনেকটাই ব্যাকফুটে ছিল কলকাতার দল। সেখানে জামশেদপুরের পয়েন্ট ছয়। খাতায়-কলমে তো পিছিয়ে ছিলই সঙ্গে মানসিকভাবেও অনেকটাই বিধ্বস্ত। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যে খুব তাগিদ দলটার মধ্যে ছিল সেটাও বুক ঠুকে বলতে পারবেন না অতি বড় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও। তার মধ্যে ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে বসল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটেই জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। সানানের পা থেকে ছিটকে আসা বলে বক্সের বাইরে থেকে তাচিকাওয়ার দূরপাল্লার দুরন্ত শট রীতিমতো সবার মাথার উপর দিয়ে দেবজিতের নাগাল টপকে ঢুকে যায় গোলে। ম্যাচ জুড়ে বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে গোল পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল কিন্তু যেভাবে একাধিকবার গোলের সামনে গিয়ে খেই হারালেন দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড ক্লেটন সিলভা তাতে তাঁকে বেশিক্ষণ মাঠে রাখাটাই যে কোনও কোচের জন্য চ্যালেঞ্জ। সেখানে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েও গোল পাওয়া হল না। এক কথায় এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের ভিলেনের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন দু’জন।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে ক্লেটনকে ফেলে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলরে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিলেন হার্নান্ডেজ। তবে পেনাল্টি থেকে শট নিতে যান সল ক্রেসপো। যা ইস্টবেঙ্গলকে আরও বড় হতাশায় ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। ক্রেসপোর একটা ব্রেক নিয়ে গড়ানে শট সহজেই তালুবন্দি করলেন জামশেদপুর গোলকিপার গোমস। যাও একটা পয়েন্টের আশা দেখা দিয়েছিল তাও জলে গেল। আর ৭০ মিনিটে নিজের গোলেই বল পাঠিয়ে ষোলকলা পূর্ণ করে দিলেন লাল চুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে গেল জামশেদপুর। আর এখানেই খেলা শেষ হয়ে গেল। এর পর আর কোনও পক্ষই বিশেষ কিছু করতে পারেনি।
ইস্টবেঙ্গল: দেবজিত মজুমদার, লাল চুংনুঙ্গা (ডেভিড), আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউয়েস্তে, প্রভাত লাকরা, শৌভিক চক্রবর্তী, নাওরেম মহেশ (পিভি বিষ্ণু), নন্ধা কুমার (আমন সিকে), সল ক্রেসপো, মাদি তালাল, ক্লেটন সিলভা
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার