অলস্পোর্ট ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর সঙ্গেই শহরে এলেন ফুটবলার সল ক্রেসপো। এছাড়া এলেন কুয়াদ্রাতের সঙ্গে থাকা ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বাকি কোচিং স্টাফরা। সামনেই ডুরান্ড কাপ। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই মরসুম শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। মঙ্গলবারই ডুরান্ড কাপ কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৭ জুলাই থেকে শুরু হবে খেলা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রস্তুতির জন্য হাতে পুরো একমাসও সময় নেই। আর সে কারণেই দ্রুত ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে চাইছেন কোচ।
গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে স্বপ্ন দেখে য়ে ছিলেন কুয়াদ্রাত। মরসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপের ফাইনালে দলকে তোলার পাশাপাশি দলকে দীর্ঘদিন পর ডার্বি জয়ের স্বাদও দিয়েছিলেন। ডুরান্ডের ফাইনালে হারতে হলেও সুপার কাপ জিতে ডুরান্ড না জেতার অতৃপ্তি সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর অধিনে প্রথমবার আইএসএল-এও ভাল জায়গায় শেষ করেছিল দল। এক কথায় বহুদিন পর চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সাহস জুগিয়েছিলেন তিনি। সেই সফল কোচকে এই মরসুমেও ধরে রেখেছে দল।
তাঁকে যেমন ম্যানেজমেন্ট ধরে রেখেছে তেমনি তিনি চেষ্টা করেছেন তাঁর মূল দলকে ধরে রাখার। দু’দিন আগেই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন গত মরসুমের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। পাশাপাশি ধরে রেখেছেন স্বদেশীয় বেশ কয়েকজনকে যাঁরা গত মরসুমে কলকাতা লিগে নিজেদের প্রমাণ করে আইএসএল দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাঙালি মুখ সায়ন। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন কোচ।
এদিকে ইতিমধ্যেই কলকাতা লিগ খেলতে নেমে পড়েছে দল। প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতেও নিয়েছে। গত মরসুমে নিয়মিত জেলার মাঠে কলকাতা লিগের ম্যাচ দেখতে যেতেন কুয়াদ্রাত। সেখান থেকেই প্রতিভাদের তুলে এনে আইএসএল-এ খেলাতেই নিয়মিত। ভূমি পুত্রের উপর সব সময়ই জোড় দিয়েছেন তিনি। যার ফলে বেশ কিছু নতুন প্রতিভা উঠে এসেছিল গত মরসুমে। এবারও তেমনটা আশা করছে লাল-হলুদ জনতা।
মঙ্গলবারই দু’বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছে ফুলব্যাক প্রভাত শাকিরাকে। গত মরসুমে তিনি খেলেছিলেন জামশেদপুর এফসিতে। নজর কেড়েছিলেন কুয়াদ্রাতের। এই মরসুমৈ ফ্রি প্লেয়ার হিসেবেই যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলে। এভাবেই ভূমিপুত্রদের তৈরি রাখছেন কোচ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার