সুচরিতা সেন চৌধুরী: কথা-বার্তায় চূড়ান্ত পেশাদার। এখনও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি তিনি। শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৬০ মিনিটে তাঁকে নামিযে দিয়েছিলেন কো। তার আগের দিনই তিনি ভারতে পা রেখেছিলন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নামিয়ে দেওয়া একটা প্লেয়ারকে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। তবে মহমেডানের বিরুদ্ধে তাঁকে যে প্রথম একাদশেই রাখা হবে সেটা কোচ জানিয়েই দিয়েছেন। তবে তা নিয়ে কোনও টেনশন নেই। সবটাই পেশাদারিত্ব, বলে দিচ্ছেন মেসি বাউলি। যখন যেমন, এই দলে যেটা প্রয়োজন সেটা করতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে শেষ বেলায় যোগ দিয়ে তিনি চিন্তিত নন বরং তাঁর যেটা করার সেটা তিনি করে যেতে চান।
মহমেডানের বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ অস্কার ব্রুজোঁর সঙ্গে প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই মন জিতে নিলেন কথা দিয়ে। বলছিলেন, “সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমি ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার। আমি এখানে এসেছি আইএসএল শেষ করে এএফসি চ্যালেঞ্জারে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা পেশাদার। আর এই ক্লাবের জন্য আমাদের প্রতিদিন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” যে লড়াইয়ের কথা প্রতিদিন বলছেন কো ব্রুজোঁ। যেটা দেখতে মুখিয়ে রয়েছে সমর্থকরা। দল যে লড়াই করছে না তা নয়, কিন্তু প্রত্যাশা মতো ফল হচ্ছে না।
নামের পাশে ‘মেসি’ যেন তাঁকে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তুলেছে। তবে তা নিয়ে তিনি মোটেও গর্বিত নন। বরং এমন প্রশ্নে কিছুটা বিরম্বনাতেই পড়ে যাচ্ছেন তিনি। তার পর সামলে নিয়ে বলছেন, “হ্যাঁ এটা ঠিক যে মেসি একজন বিশ্বখ্যাত ফুটবলারের নাম তবে আমার নামও মেসি। আমার পরিবারের দেওয়া। তাই নাম নিয়ে কোনও চাপ থাকার কথাই নেই।” তিনি যে মোটেও কোনও কিছুতে চাপ নন না সেটা পরিষ্কার করে দিলেন বার বার। একটাই বক্তব্য একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজের কাজ করে যাওয়া।
বলছেন, “পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলাটাই আমার কাছে মোটিভেশন। আর সেটা আমরা প্রতিদিন পাই।” কলকাতায় পা দিয়েই সমর্থকদের বিক্ষোভ নিজের চোখে দেখেছেন মেসি বাউলি। যেটাকে সদর্থকভাবেই দেখছেন তিনি। বলছিলেন, “গতকাল আমি দেখছিলাম ফ্যানরা খুব রেগে আছে। এবং এটা স্বাভাবিক।” ফ্যানদের কথা ভেবে, দলের কথা ভেবে তিনি গোল করতে চান। যদিও তাঁর কাছে দল আগে। বলছিলেন, “গোল আমি করতে পারি, দিমি করতে পারে, থাপা করতে পারে , যে কেউ করতে পারে। আসল তো দলের জয়।”
তবে তাঁর হাতে সময় নেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। কলকাতায় পা দিয়েই একদিনও অনুশীলন না করে নেমে পড়তে হয়েছিল মাঠে। সেই ম্যাচ ০-৩ গোলে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তার পর এক সপ্তাহ সময় পেয়েছেন দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। কিন্তু এটা মোটেও যথেষ্ট নয়। ইস্টবেঙ্গলের মেসি বলছিলেন, “সবার মানিয়ে নিতে সময় লাগে। কিন্তু এখ আমার কাছে সেই সময়টা নেই। তাই আমাদের সেই মতো এগোতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।”
রবিবার তাঁকে দেখা যাবে প্রথম দলে। দিয়ামান্তাকোসের পাশে তিনি থাকলে সুযোগ তৈরি করেও গোল না পাওয়ার যে অভ্যেস সেটাথেকে হয়তো বেরিয়ে আসতে পারবে দল, এমনটাই মনে করছেন স্বয়ং কোচ। তাঁর উপর ভরসা রাখছেন অস্কার ব্রুজোঁ। সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলবে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার