সুচরিতা সেন চৌধুরী, ভুবনেশ্বর: রাত পোহালেই আরও একটি ডার্বি। মরসুমের তৃতীয় কলকাতা ডার্বিতে কলিঙ্গ সুপার কাপ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, তবে উড়িষ্যার মাটিতে। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরের সব সমস্যা ভুলে ‘লড়কে লেঙ্গে ডার্বি’র মুডে রয়েছে দুই দল। কলিঙ্গ সুপার কাপে গ্রুপ এ থেকে কোন দল সেমিফাইনালে যাবে সেটা নিশ্চিত হয়ে যাবে এই ম্যাচের পরই। সে কারণে কোনও দলই এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তবে মোহনবাগান কোচ বলছেন, চাপে তো ইস্টবেঙ্গল। আমাদের সমস্যাগুলো সকলেই জানেন তাই আমাদের হারানোর কিছু নেই। তিনি বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামবে। পাশাপাশি ওরা ড্র করলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে আর আমাদের জিততেই হবে, তাই ওদের উপর চাপ বেশি।” এক কথায় যখনই দলে প্লেয়ার না থাকার সমস্যা থাকুক না কেন প্রত্যাশার চাপ কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষেরই, বলছেন মোহনবাগানের সহকারি কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা।
হুয়ান ফেরান্দো বিদায়ের পর থেকেই সামনে এসে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লিফোর্ড। সুপার কাপে তাঁর অধিনে দুই ম্যাচেই কষ্টার্জিত হলেও জয় তুলে নিয়েছে মোহনবাগান। ডার্বির আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বর্তমান হেড কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। মঙ্গলবার থেকে দলকে অনুশীলন করালেও ডার্বিতে কোচ হিসেবে বেঞ্চে থাকছেন ক্লিফোর্ডই। কোচ হিসেবে তাঁর প্রথম ডার্বি। তা নিয়ে উত্তেজনা তো রয়েছেই কিন্তু তাঁর কাছে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাড়া আর কিছু নয়।
বলছিলেন, “ডার্বির আবেগ জানি। কোচ হিসেবে প্রথম ডার্বি খেলতে নামব তা নিয়ে আমি উত্তেজিত কিন্তু কোচ হিসেবে আমার কাছে এটি আরও একটি ম্যাচ। যেটা আমরা জেতার জন্যই নামব।” তবে তাঁর দলের রক্ষণ নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।যদিও তিনি রক্ষণ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। বলছেন, “সবাই আমাদের রক্ষণ নিয়ে এত চিন্তিত কেন আমি একদমই ভাবছি না। রক্ষণ ভাল খেলছে। মাঠে নেমে আমি আমার কাজ করব, প্লেয়াররা তাদের কাজ করবে। আইএসএল-এও আমরা সমস্যায় ছিলাম।”
এদিকে আইএসএল-এর প্রথম পর্বের ডার্বি এখনও করা সম্ভব হয়নি। তবে এদিন দলের সহকারি কোচ জানিয়ে দিলেন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিন বা চার তারিখ হতে পারে ডার্বি তিনি বলেন, “এটা মরসুমের তৃতীয় ডার্বি। সবাই জানেএই ম্যাচ সম্পর্কে। এই ডার্বি খেলার পর আবার কয়েকদিনের মধ্যেই আইএসএল-এর ডার্বি খেলতে হবে। তার পর আবার দ্বিতীয় ডার্বিও থাকবে। আমাদের নিজেদের সাহায্য করতে এই ম্যাচ জেতার জন্য।”
মোহনবাগান দলে ন’জন প্লেয়ার নেই। কেউ জাতীয় দলে আবার কেউ চোটের জন্য বাইরে। তা বলে লড়াই ছেড়ে দেয়নি তাঁর দল বলেই মনে করছেন ক্লিফোর্ড। বলছিলেন, “শেষ ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছিলাম ৯৩ মিনিটে। এটাই আমাদের লড়াইয়ের পরিচয়। শেষ মিনিট পর্যন্ত দলটা লড়াই করছে।” তবে হাবাস চলে আসায় দলের উপর ভাল প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন সহকারি কোচ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার