অলস্পোর্ট ডেস্ক: ইউরো কাপ ২০২৪-এর প্রথম ফাইনালিস্ট ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ফাইনালিস্টের লক্ষ্যে বুধবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। বিশ্ব ফুটবলের দুই তাবড় দেশ যখন ফাইনালের লড়াইয়ে তখন সেই ম্যাচের উত্তেজনা যে তুঙ্গে থাকবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই ছিল না। যে কারণে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। যার ফল ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে গিয়েছিল ডাচরা। যদিও শুরুতেই ১-০ গোলের ব্যবধান বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি তারা। বরং ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়ে তাদের সমতায় ফিরতে সাহায্য করেছিল। পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, থাকবেও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ১-১ আর শেষ মুহূর্তে ২-১ করে নেদারল্যান্ডসকে ছিটকে দিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড।
যদিও শুরুটা করে দিয়েছিল ডাচরা। তখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি ফুটবলার থেকে গ্যালারি কেউই। তার মধ্যেই চকিতে গোলে শট নিয়ে ফেলেন নেদারল্যান্ডসের জাভি সিমন্স। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর ডান পায়ের জোড়াল শট গোলের বাঁদিকের উপরের কোণা দিয়ে চলে যায় গোলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসে ইংল্যান্ড রক্ষণ। তবে গোল হজম করে সম্বিত ফেরে ব্রিটিশদের। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনকে ফাউল করে বসেন ডেনজেল ডামফ্রাইস। রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেন। ১৭ মিনিটেই সমতায় ফেরে তারা।
১-১ হয়ে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় সমানে সমানে লড়াই। দুই দল আর গোলের মধ্যে যদি না পোস্ট আর ক্রসবার বাধা হয়ে দাঁড়াত তাহলে ১-১ গোলটা ২-২ হতে পারত নিশ্চিন্তে। ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে জাভি সিমন্সের ক্রসে গোল লক্ষ্য করে হেড করেছিলেন ডেনজিল, কিন্তু তাঁর হেড ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়। তার দুই মিনিটের মধ্যেই ইংল্যান্ডের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। বুকায়ো সাকার থেকে পাওয়া বলে বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন ফিল ফোডেন। কিন্তু পোস্টে লেগে সেই বল বেরিয়ে যায় বাইরে। নিশ্চিত গোলে এভাবে বাধা না হলে প্রথমার্ধেই ২-২ হয়ে যেতে পারত ম্যাচ।
ইংল্যান্ড এগিয়েও যেতে পারত যদিও না গোল লাইন থেকে ফোডেনের শট বাঁচিয়ে দিতেন ডেনজেল। এদিন প্রথমার্ধের প্রায় সব বলার মতো ঘটনার মূল মুখ ছিলেন তিনিই। পেনাল্টি পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে হেড পোস্টে লাগা এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ গোল লাইন থেকে ইংল্যান্ডের নিশ্চিত গোলকে ফিরিয়ে দেওয়া। তবে ঠিক যখন মনে হচ্ছে ম্যাচ শেষ হবে না নির্ধারিত সময়ে। তখনই সব হিসেবকে উল্টে দিয়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
৮০ মিনিটে হ্যারি কেনের পরিবর্তে মাঠে নেমে ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে গেলেন সুপার সাব ওলি ওয়াটকিন্স। কোল পামারের থেকে পাওয়া একটি থ্রু বলে বক্সের ডান দিক থেকে যে শটটি নিলেন তা প্রথম পোস্টে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে দাঁড় করিয়ে রেখে দ্বিতীয় পোস্টের কোণা দিয়ে চলে গেল গোলে। আর সেখানেই শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। এখান থেকে ম্যাচে ফেরা কঠিন নয় অসম্ভব ছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। আবারও প্রথম সেমিফাইনালের পর দ্বিতীয় সেমিফাইনালও প্রথমে এবং ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যাওয়া দল হেরে ছিটকে গেল ইউরো কাপ ২০২৪ থেকে। ফাইনালে স্পেন বনাম ইংল্যান্ড।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার