অলস্পোর্ট ডেস্ক: আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে জিতলেই পর্তুগালের ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে ডাবলিনের মাঠে আয়ারল্যান্ডের কাছে ০-২ গোলে হারায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠা আপাতত আটকে রইল পর্তুগালের। রবিবার আর্মেনিয়া ম্যাচ খেলা পর্যন্ত। পর্তুগালকে লক্ষ্যে পৌঁছতে অন্তত ওই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেতে হবে। তবে আর্মেনিয়া ম্যাচটা পর্তুগালকে খেলতে হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়া। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে রোনাল্ডো লাল কার্ড দেখায়। পর্তুগাল বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠলে, ফিফা শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ’ম্যাচ নির্বাসিত হলে, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রোন্ডাল্ডো খেলতে পারবেন না।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে নায়ক আয়ারল্যান্ডের ট্রয় প্যারট। ১৭ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বিরতির ঠিক আগে করেন দ্বিতীয় গোল, দিয়েগো কোস্তাকে হার মানিয়ে নীচু শটে। ৬০ মিনিটের মাথায় পর্তুগালের দুর্দশা বাড়ে আয়ারল্যান্ড ডিফেন্ডার দারা ও‘শিয়াকে বিশ্রিভাবে কনুই চালিয়ে রোনাল্ডো লাল কার্ড দেখলে। প্রথম রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। পরে ভারের মাধ্যমে রোনাল্ডোর অপরাধ বেশি গুরুতর মনে হওয়ায়, তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
রোনাল্ডোর ফুটবলজীবনে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটা প্রথম লাল কার্ড। পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজের মতে, রোনাল্ডোর লাল কার্ডের শাস্তিটা একটু বেশিই হয়ে গেল। এর আগে ২২৬ ম্যাচে কখনও লাল কার্ড দেখেনি রোনাল্ডো। ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা পর্তুগালের বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে রবিবার শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যখন ড্রই, যথেষ্ট তখন প্লেঅফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে হাঙ্গেরির(৮ পয়েন্ট) বিরুদ্ধে জিততেই হবে আয়ারল্যান্ডকে(৭ পয়েন্ট)।
পর্তুগাল যেখানে ঝুলে থাকল, সেখানে কিলিয়েন এমবাপের জোড়া গোলের সুবাদে ২বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ৪-০ গোলে ইউক্রেনকে উড়িয়ে দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলল। ফ্রান্সের হয়ে আরও দুটি গোল করেন মাইকেল ওলিশে ও হুগো একতিকে। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ফান্সকে গোল করে এগিয়ে দেন এমবাপে। পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে ৭৬ মিনিটে দুরন্ত বাঁক খাওয়ানো শটে দ্বিতীয় গোল করেন ওলিশে। ৮৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন এমবাপে। দেশের জার্সিতে ৫৫ গোল করা এমবাপে ঠিক ২ গোল পিছনে রয়েছেন সর্বাধিক গোলদাতা অলিভার জিরুর। ইউক্রেনের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন একতিকে। এমবাপের ভূয়সী প্রশংসা করে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ বলেছেন, এমবাপে নিজের ভূমিকা যথার্থভাবেই পালন করেছে খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে। ও ভাল খেললে সব কিছুই খুব সহজ হয়ে যায়।
হ্যালান্ডের জোড়া গোলে জোরে অসলোর মাঠে এস্তোনিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে নরওয়ের বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। সেখানে মলডোভাকে ২-০ গোলে হারিয়েও ইতালির মূল পর্বে ওঠা নিশ্চিত নয়। তাদের ভরসা প্লেঅফ।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





