সুচরিতা সেন চৌধুরী: গত মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়া একটা দল যে ভাবে দ্বিতীয়ার্ধে ৪-২ গোলে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তার পর তাদের ঘিরে যে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে থাকবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আর আগের ম্যাচে এই বলেই দলকে তাতিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। সেদিনের সেই ভোকাল টনিকের পর ঘুরে দাঁড়ানো দল সেই লড়াই কি আদৌ ধরে রাখতে পারবে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে? বা কতটা কঠিন সেই মুহূর্তকে পরের ম্যাচেও ধরে রাখা? কোচ অস্কারের কাছে সেই জয় এই মরসুমের সব থেকে বড় সাফল্য, সেটা মেনে নিচ্ছেন তিনি।
আগের ম্যাচের জন্য ছেলেদের লড়াইকে স্যালুট জানিয়েছেন তিনি। বলে, “আমি প্লেয়ারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওরা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে লড়াই করতে হয়। গত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দল খুব ভাল খেলেছে। আর আমি ধারাবাহিকতা পছন্দ করি।” ঘুরিয়ে এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে তারকারা ফিরলেও দলে হয়তো বড় কোনও পরিবর্তন আনবেন না তিনি। যে মহেশের জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধে নেমে নেমে ইস্টবেঙ্গলের খেলাটাই ঘুরিয়ে দিলেন পিভি বিষ্ণু হয়তো জামশেদপুরের বিরুদ্ধে তাঁকেই প্রথম দলে দেখা যাবে।
লাল কার্ডের জন্য আগের ম্যাচে খেলতে না পারা জিকসন সিং, চোট সারিয়ে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস বা পঞ্জাব ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে চোটের কারণে আর দ্বিতীয়ার্ধে নামতে না পারা মহেশ সিংরা খেলার জন্য তৈরি কিন্তু উইনিং কম্বিনেশন কতটা ভাঙতে তৈরি অস্কার? বলছিলেন, “আমি একইভাবে চালিয়ে যাওয়াটা পছন্দ করি। মহেশ, নাওরেমরা অনুশীলনে ভাল করেছে। এমন ভাবে দল সাজাতে হবে যাতে খেলাটা ভাল হবে। সেরাটাই বেছে নেওয়ার উপায় বের করতে হবে।”
বছরের শেষ হোম ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। কোচের মতে, এই মরসুমের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটিই। বলেন, “পর পর তিনটে হোম ম্যাচ পাওয়াটা আমাদের কাজে লেগেছে।এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে ভাল সুযোগ রয়েছে। আমরা। আপাতত এই ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। এর পর রয়েছে হায়দরাবাদ ম্যাচ। এখন সুপার সিক্স আমাদের কাছে স্বপ্ন, তবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর লক্ষ্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
গত ম্যাচ জেতার পর বলেছিলেন, দলের সমস্যাটা টেকনিক্যাল নয়, মানসিকতার। এদিনও সেটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন। বলেন, “আগে কী ছিল আমি জানি না। তবে আমি আসার পর থেকে দলের মধ্যে প্রতিদিন, প্রতি অনুশীলনে উন্নতিই দেখেছি। আমাদের শারীরিকভাষা উইনারদের মতোই। আমরা জয়ের জন্য মুখিয়ে। দিনের পর দিন অনুশীলনে আমরা এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। ভাল ফুটবল খেললে, ভাল ফল আসবে।”
তবে দলের রক্ষণ নিয়ে কিন্তু এখনও চিন্তা যায়নি, সেটা মেনে নিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। মেনে নিচ্ছেন, রক্ষণে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে। যা দল ক্রমশ কাটিয়ে উঠছে। যার ফল গত ম্যাচে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে তিনি যে কাজ করছেন সেটা নিশ্চিত করেছেন। এবং আরও একবার নিজের পছন্দের আক্রমণাত্মক ফুটবলের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার