অলস্পোর্ট ডেস্ক: বুধবার শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে একটা সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমার্ধ শেষের কিছুক্ষণ আগে ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিমাচ-কে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। যে ম্যাচ পরবর্তী সময়ে সুনীল ছেত্রীর হ্যাটট্রিকে জিতে যায় ভারত। কিন্তু নিজের ব্যবহারে কোনওভাবেই লজ্জিত নন স্টিমাচ। রেফারি প্রাজ্জ্বল ছেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি কোচ। পাকিস্তানকে থ্রো-ইন দেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। ভারতের রাইটব্যাক প্রীতম কোটালকে ফাউল করা হয়েছিল। তার পর পাকিস্তানকেই থ্রো-ইন দেওয়া হয়। পাকিস্তানের আবদুল্লাহ ইকবাল যখন থ্রো-ইন করার জন্য প্রস্তুত তখন স্টিম্যাচ হস্তক্ষেপ করে ফেলেন।
তাঁর থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দর্শক, খেলোয়াড় এবং কিছু কোচিং স্টাফরাও এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। রেফারি এবং অন্যান্য ম্যাচ কর্মকর্তাদের শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতেই হয় সবাইকে বাগে আনতে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হাসান বশির তাঁর সতীর্থদের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখাতে এবং কর্মকর্তাদের তাদের কাজ করতে দিতে অনুরোধ করেন।
রেফারি শেষ পর্যন্ত স্টিম্যাচকে মার্চিং অর্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, স্টিম্যাচ বলেন, তিনি তাঁর খেলোয়াড়দের জন্য এমনটা আবারও করতে পারেন। “ফুটবল হল আবেগের বিষয়, বিশেষ করে যখন আপনি আপনার দেশের রং-য়ের দায়িত্বে। গতকাল আমার কাজের জন্য আপনি আমাকে ঘৃণা করতে পারেন বা ভালোবাসতে পারেন, কিন্তু আমি একজন যোদ্ধা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে আমাদের ছেলেদের রক্ষা করার জন্য আমি আবার এটি করব,” স্টিমাচ টুইট করেন।
প্রাক্তন ভারতীয় ডিফেন্ডার মহেশ গাউলিকে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় কোচের দায়িত্ব পালন করতে মাঠের মধ্যে। ভারত ও পাকিস্তান দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার জন্য হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার