সুচরিতা সেন চৌধুরী: জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হয়ে গেল ফুটবলের সাফল্য উদযাপন। আর তার কারিগর বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ। কোচ সঞ্জয় সেনের হাত ধরে বহুদিন পর সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলার ছেলেরা। ট্রফি নিয়ে শহরে ফেরার পর থেকেই সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসছেন ফুটবলাররা। ময়দানের একাধিক ক্লাব থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সংবর্ধনা পেয়েছে পুরো সন্তোষ ট্রফি দল। মিলেছে সরকারি চাকরি। এবারের মতো হয়তো আইএফএ-এর হাত ধরেই শেষ হল সেই পালা।
কৃশানু দে-র জন্মদিনকেই বাংলার ফুটবলের সাফল্যের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল আইএফএ। সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র মতো উপলক্ষ্য তো ছিল। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “পরিকল্পনা ছিলই কৃশানু দে-র জন্মদিনে ফুটবলের এই উদযাপন করা। সঙ্গে আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর আমাদের মতো মাঠের মানুষদের প্রথম ভালবাসা তো ফুটবল। এই দিনে এটা করতে পেরে ভাল লাগছে।”
পাশাপাশি লক্ষ্য ছিল বাংলার ফুটবলকে অতীতে যারা গৌরবান্বিত করেছে তাদের উপস্থিতিতে বর্তমানকে সম্মানিত করা। সেটায় সফল আয়োজকরা। এদিন সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলকে সংবর্ধিত করার পাশাপাশি সংবর্ধনা দেওয়া হল জাতীয় গেমসে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী মহিলা বাংলা দল, বিসি রায় ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা দল ও ইউনিভার্সিটি গেমসে চ্যাম্পিয়ন অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি ফুটবল দলকেও। সঙ্গে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জাতীয় স্তরে অংশ নেওয়া রেফারিদেরও।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, অতনু ভট্টাচার্য, জামশিদ নাসিরি, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, অমিত ভদ্র, দীপেন্দু বিশ্বাস, রহিম নবি, মেহতাব হোসেনসহ আরও অনেকে। ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও আইপিএল কমিটির সদস্য অভিষেক ডালমিয়া। পুরস্কার অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে ছিল নাচ ও গানের অনুষ্ঠানও। গানের মঞ্চ মাতালেন শিল্পপতি অঙ্কিত আদিত্য।
সব মিলে জমজমাট এক সন্ধ্যা উপহার পেল বাংলার ফুটবলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা মানুষরা। যদিও আয়োজনের মঞ্চ ছিল হকি বেঙ্গল ক্লাব। এক কথায় বাংলার ক্রীড়ায় হাতে হাত রেখে চলার যেন অঙ্গীকারের নিদর্শন পাওয়া গেল এই যৌথতায়।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার