অলস্পোর্ট ডেস্ক: ১৯৬৬-র পর ইংল্যান্ড এর সামনে এল আবার এক অসাধারণ সুযোগ। চলতি মহিলা বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। আগামী রবিবার সিডনিতে স্পেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে অধিনায়ক মিলি ব্রাইটের দল। ৫৭ বছর আগে ববি মুর উইম্বলেতে শেষ ট্রফি নিয়ে আসার পর এটিই হতে চলেছে ইংল্যান্ডের জন্য সব থেকে বড় সুযোগ।
ব্রাইট বলেছেন, ‘‘আমি সত্যিই সমর্থকদের জন্য খুশি, যারা দেশকে সমর্থন করছে। এটি বহুকাঙ্খিত সেই চাওয়া যার দিকে আমরা প্রত্যেকেই অনেক বছর ধরেই তাকিয়ে রয়েছি, এখন আমাদের কাছে সেই দুর্দান্ত সুযোগ এসেছে।’’ পুরুষ দলের অধিনায়ক হ্যারি কেন এবং রাজা তৃতীয় চার্লসও তাঁদের অভিনন্দন পাঠিয়েছেন।
ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন দলটি টুর্নামেন্ট খেলেই এগিয়েছে। তাঁদের বিপরীত দলের প্রতি আক্রমন এবং প্রতিরক্ষার ধরন দেখলেই তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। চটজলদি নতুন নতুন কৌশল শেখার ক্ষমতাই আজ তাদের ইতিহাসের দরজায় পৌঁছে দিয়েছে। সেরেনা উইগম্যানের কৌশলগত প্রতিভার জন্যই গতবছর তাঁরা ইউরোপীয় শিরোপা জিতেছিলেন।
ব্রাইট বলেন, ‘‘তারা চাইলে আলাদা আলাদা কৌশলে ম্যাচ জিততেই পারে,তবে আমরা এই টুর্নামেন্টে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘প্রত্যেকটি ম্যাচে আমরা নিজেদের প্রমান করেছি, আমরা কতটা যোগ্য দল তারও প্রমান দিয়েছি। আমরা এখন খুব দ্রুত ধরতে পারছি বিরুদ্ধ দল কোন কৌশল প্রয়োগ করছে। সেই কৌশল বুঝে বিপরীত দলের গোলে বল ফেরৎও পাঠাচ্ছি।’’
গত সেপ্টেম্বরে, ১৫ জন ফুটবলার ফ্রেডারেশনকে মেল পাঠিয়েছিলেন যে তাঁরা আর দলে থাকতে চান না। তাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন দলের কোচ জর্জ ভিলদার বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ ছিল কোচ অতন্ত্য কড়া।
এই ডাচ কোচ টানা চারটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে দলকে তুলেছিলেন। ২০১৭-তে ইউরোপীয় শিরোপা এবং ২০১৯-এ বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে পৌঁছে দেন তিনি। যদিও বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারে।
গত বছর ঘরের মাঠে তাঁরা ইউরোপীয়ান ফুটবলের গৌরব বজায় রেখেছিলেন। তারপর আবার তাঁদের সামনে অন্যতম বড় সুযোগ এসেছে সমস্ত ট্রফির মধ্যে সবচেয়ে বড় ট্রফি জেতার। এখন দেখার বিষয় তাঁরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতটা সফল হতে পারেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার