অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভানুয়াতুর মতো অনামী দলের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রী-র একমাত্র গোলে জেতা কোচ ইগর স্টিমাচের কপালে ভাজ পড়ার জন্য যথেষ্ট। এই দল নিয়ে এশিয়া কাপে যেতে ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সোমবার ভুবনেশ্বরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ভারত ও ভানুয়াতু। এই ম্যাচ জিতলেই ভারতের পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল ফাইনালে। সঙ্গে ঘরের মাঠে টানা সাত ম্যাচ জিতে তালিকাটা লম্বা করাও ছিল লক্ষ্য। এই দুই লক্ষ্যে সফল ভারতীয় ফুটবল দল। সুনীল ছেত্রীর একমাত্র গোলে জিতে ফাইনালের টিকিট পকেটে পুড়ে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবেই। প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে মনে করা হয়েছিল গোলের ব্যবধান বাড়বে কিন্তু হল উল্টোটাই। গোলের ব্যবধান কমে গেল সঙ্গে গোল সংখ্যা। তাহলে কি ভারতীয় দলে গোল করার লোকের অভাব। প্রথম ম্যাচে গোল না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেলেন সুনীল। ৮১ মিনিটে জয়ের গোলটি আসে তাঁর পা থেকেই। এই গোল না হলে ম্যাচের ফল গোলশূন্য ড্র-ও হতে পারত।
বাঁদিক থেকে নাওরেম মহেশের ভাসানো বলে হেড করতে ওঠা প্রীতম কোটাল ফ্লাইট মিস করেন। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি দেশের গোলমেশিন। প্রীতমের পিছনেই অপেক্ষায় ছিলেন সুনীয় ছেত্রী। ভেসে আসে সেই বল বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ে জোড়াল শট নেন গোলে। তাঁর সেই গোলমুখি শট বাঁচাতে লাফালেও নাগাল পাননি ভানুয়াতু গোলকিপার। সুনীলের এই গোলের পরই স্বস্তি ফেরে রিজার্ভ বেঞ্চে। না হলে রীতিমতো চাপে ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
প্রথম ম্যাচে দুটো গোলই এসেছিল প্রথমার্ধে। ১২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হয়ে যাওয়ার পরও আর গোল করতে পারেনি ভারত। আর এই ম্যাচে ৮০ মিনিট পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি ভারতের ফরোয়ার্ড লাইন। শেষবেলায় মান বাঁচালেন সেই সুনীল। গোলের সুযোগ যে পায়নি ভারত তেমনটা নয় কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি। গোলের পর সুনীলের সেলিব্রেশন বুঝিয়ে দিল বাবা হতে চলেছেন তিনি। জার্সির ভিতর পেটের কাছে বল ঢুকিয়ে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিলেন তিনি। ফাইনালে পৌঁছে গেলেও আরও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ভারতের। সেটি জিতেই ফাইনালে নামতে চায় গোটা দল।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার