অলস্পোর্ট ডেস্ক: এখনও বছরের প্রথম জয়ের পাশাপাশি প্রধান কোচ মানোলো মার্কেজের অধীনেও ভারতীয় দলের প্রথম জয় এখনও অধরা। সেই লক্ষ্যেই ভারত সোমবার হায়দরাবাদে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে পরিচিত প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। জানুয়ারিতে এএফসি এশিয়ান কাপে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রায় ১০ মাস পরে সিনিয়র খেলোয়াড় এবং সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিংগানের প্রত্যাবর্তনে ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ভারতীয় ফুটবল দল এই বছরে এ পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে এবং চারটিতে ড্র করেছে। তারা এখনও পর্যন্ত মানোলোর অধীনে তিনটি ম্যাচ খেলেছে, যিনি জুলাইয়ে ইগর স্টিমাচের জায়গায় প্রধান কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং তাঁর ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত দু’টি ড্র এবং একটি হার রয়েছে।
ভারত মরিশাসের সঙ্গে ড্র করেছে এবং সেপ্টেম্বরে আন্তঃমহাদেশীয় কাপে সিরিয়ার কাছে ০-৩ হেরেছে। গাচিবাওলি স্টেডিয়ামে সোমবারের ম্যাচটি তাই ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলটি ১২ অক্টোবর শেষ ম্যাচে ভিয়েতনামের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল।
ভারতীয় দল সোমবার ইতিবাচক ফলাফল না পেলে, ১১ ম্যাচে জয় ছাড়াই হয়তো বছর শেষ করবে। আগামী বছরের মার্চে ২০২৭ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের আগে সোমবারের ম্যাচটি ভারতের শেষ ম্যাচও হতে পারে।
ভারত-মালয়েশিয়া ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক ভাল ভাল ম্যাচ উপহার দিয়েছে। ১৯৫৭ সালে কুয়ালালামপুরে একটি প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে, যেটি ভারত ৩-০ গোলে জিতেছিল, গত বছরের মারডেকা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের লড়াই পর্যন্ত যেখানে মালয়েশিয়া ৪-২ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল, দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ৩২ বার।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভারত সবচেয়ে বেশিবার খেলেছে, তার পরেই পাকিস্তান (২৯ ম্যাচ) এবং বাংলাদেশ (২৮ ম্যাচ)।
হেড টু হেড ফলাফলে দুই পক্ষ রয়েছে সমানে সমানেদুই দলই জিতেছে ১২টি করে ম্যাচ, আর আটটি ড্র হয়েছে।
বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সামান্য পার্থক্য রয়েছে, ভারত ১২৫তম এবং মালয়েশিয়া ১৩৩তম স্থানে রয়েছে৷ জয় তুলে নেওয়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ মানোলোর ছেলেদের সামনে।
14 নভেম্বর লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জয়ের পর মাঠে নামছে মালয়েশিয়া।
দুই দলই একে অপরকে মোটামুটি ভাল ভাবে চেনে। ভারতের বর্তমান দলে গত মাসে মারডেকা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের লড়াইয়ের নয়জন খেলোয়াড় রয়েছে — গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সন্দেশ ঝিংগান, মেহতাব সিং, বিশাল কাইথ, নাওরেম রোশন সিং, অমরিন্দর সিং, লিস্টন কোলাসো, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে এবং সুরেশ সিং ওয়াংজাম।
অন্যদিকে, গত বছর মালয়েশিয়ার ২৬ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন রয়েছেন দলে। এর মধ্যে দুইজন আরিফ আইমান, যিনি জোহর দারুল তাজিম এফসি-র একজন তরুণ উইঙ্গার এবং ডিফেন্ডার ডিওন কুলস, যাঁরা মালয়েশিয়ার বাইরে তাদের বুরিরাম ইউনাইটেডের হয়ে থাই লিগ ওয়ান খেলতে ব্যস্ত। অন্যজন ফরোয়ার্ড ফার্গাস টিয়ার্নি, যিনি চোনবুরি এফসি-এর হয়ে থাই লিগ ২-এ খেলেন।
মালয়েশিয়ার স্কোয়াডের বেশিরভাগই তিনটি ক্লাবের অন্তর্গত – জোহর দারুল তাজিম এফসি, তেরেঙ্গানু এফসি এবং কুয়ালালামপুর সিটি এফসি।
ভারতের মতো মালয়েশিয়াতেও গত বছর থেকে কোচিং স্টাফ পরিবর্তন হয়েছে। মানোলো এবং তার প্রতিপক্ষ পাউ মার্টি উভয়েই স্পেনের বাসিন্দা এবং বার্সেলোনায় তাদের সময় থেকেই একে অপরকে চেনেন।
মালয়েশিয়া ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রাউন্ড ৩-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে মানোলোর মতো, মার্টিও জুলাই মাসে দায়িত্ব নেন।
মানোলো বলেন, “তারা (মালয়েশিয়া) ভাল ফুটবল খেলছে এবং এটা উভয় দলের জন্যই কঠিন খেলা হবে।”
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার