অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইলিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পেতে ইন্টার কাশীর ৬ মাস লেগে গেল। তার জন্য ফেডারেশনের দায় কম নয়। আইলিগ শেষ হতে ইন্টার কাশী চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিতর্ক ইস্যুতে কোর্ট অফ আর্বিট্রশনে ফর স্পোর্টসের (ক্যাস) দারস্থ হয়েছিল এআইএফএফের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে। কারণ ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটি ইন্টার কাশীকেই অবৈধ ফুটবলার খেলানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করলে, চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে আইলিগ ট্রফি তুলে দিয়েছিল আইএফএ। কিন্তু তড়িঘড়ি নেওয়া এই সিদ্ধান্ত যে তাদের গলায় পরে কাঁটার মতো বিঁধবে, সেটা বোঝেনি ফেডারেশন।
ক্যাস গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার পরে জানায় ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে অবৈধ ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এআইএফএফ তাদের অর্জিত যে পয়েন্ট কেটে চার্চিলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে, সেটা ঠিক নয়। এরপর আর ফেডারেশনের কাছে ইন্টার কাশীকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা ছাড়া আরও কোনও পথ খোলা ছিল না। কিন্তু আই লিগ দেওয়া নিয়ে বাধে গন্ডগোল। চার্চিলকে আইলিগ ট্রফি ফেরত দিতে বলা হলে, তারা বেঁকে বসে। এআইএফএফ শুরুতে ভেবে উঠতে পারেনি, ঠিক কী করা উচিত। চার্চিলকে অনুরোধ করেও ফল হয়নি। শেষপর্যন্ত সুপার কাপে গোয়ার মাঠে ইন্টার কাশী গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলার পর এআইএফএফের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এম সত্যনারায়ণ ও গোয়া ফুটবল সংস্থার সভাপতি কাইতোনো ফার্নান্ডেজ আইলিগের নতুন একটি ট্রফি তুলে দেন দলের অধিনায়ক গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের হাতে। ফুটবলারদের পরিয়ে দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন পদকও।
আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি জিতে ইন্টার কাশী যে শুধু ১ কোটি টাকা পেলই এমন নয়, তারা আগামী আইএসএল খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। আইলিগ ট্রফি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত দলনায়ক অরিন্দম। ইন্টার কাশী গোলকিপারের প্রতিক্রিয়া, ‘ মাত্র ২ বছরে মধ্যে এতবড় সাফল্য ছোঁয়া সত্যি খুব আনন্দের। ইন্টার কাশীর প্রথম কোনও বড় প্রাপ্তি। তাই অবশ্যই স্পেশাল। কাজটা সহজ ছিল না। আমাদের মতো নতুন একটা দলের এই সাফল্য প্রাপ্তির পিছনে কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, সাপোর্ট স্টাফ, সতীর্থ ফুটবলারের নিরলস প্রয়াস ছিল। আর টিম ম্যানেজমেন্টের কথাও বলতে হবে। তারা আমাদের সবসময় সাপোর্ট দিয়ে গেছে। এমনকি ক্যাসের দরবারে গিয়ে লড়াইতেও।’
ট্রফি হাতে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অরিন্দম ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। বলেন, ‘ ইন্টার কাশী আইএসএল খেলবে এবার। তবে আমি আর খেলব না। তবে অবসর নিলেও ইন্টার কাশী আমার হৃদয়েই থেকে যাবে দলের একজন ফ্যান হিসেবে। চাইব ওরা আরও বড় সাফল্য পাক ভবিষ্যতে। আমি যখনই সুযোগ পাব, ইন্টার কাশী জার্সি গায়ে মাঠের বাইরে থেকে ওদের জন্য গলা ফাটাব।’
ইন্টার কাশীর সভাপতি পৃথ্বীজিত দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘ আইলিগ ট্রফি হাতে পাওয়ায় আমরা সবাই খুশি। ফুটবলাররা আরও বেশি উজ্জীবিত আইএসএলে খেলবে জেনে। আমরা ৫ নভেম্বর ফেডারেশনের বিড ইভালুয়েশন কমিটির সেট করে দেওয়া ৫ নভেম্বর সময়সীমার দিকে তাকিয়ে আছি। ওইদিনি জানতে পারব ফেডারেশনের ডাকা সাড়া দিয়ে কারা গ্লোবাল টেন্ডার শামিল হয়েছে। সেটা জানার পরই আইএসএলের জন্য পুরোদমে দলগঠনে হাত লাগাব। একইসঙ্গে আইএসএল খেলার প্রস্তুতিও শুরু করব ভাল ফল করার লক্ষ্যে।’
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





