Friday, November 7, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeফুটবলকলকাতা ডার্বি ১০ মার্চ ঘরের মাঠেই? সময় নিয়ে সমস্যা টেলিকাস্ট চ্যানেলের

কলকাতা ডার্বি ১০ মার্চ ঘরের মাঠেই? সময় নিয়ে সমস্যা টেলিকাস্ট চ্যানেলের

অলস্পোর্ট ডেস্ক: আইএসএল-এর দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। ডার্বির দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর ঘোষণা হয় শাসক দলের ব্রিগেড সমাবেশ। একই দিনে ব্রিগেড আর ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের কথায় মাথায় হাত পড়ে পুলিশের। যদিও ব্রিগেড সমাবেশের দায়িত্ব থাকবে কলকাতা পুলিশের হাতে। অন্যদিকে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব সবসময়ই থাকে বিধাননগর কমিশনারেটের অধিনে। সেই অবস্থায় ম্যাচ করতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে বিষয়টা যে অতটাও সহজ নয় তা ক্রমশ সামনে আসতে শুরু করে দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে।

গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং চলছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষের। কারণ এই ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনেই হচ্ছে এই ম্যাচ। প্রাথমিকভাবে যা খবর তাতে ম্যাচ হবে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই। সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ডার্বির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। আলোচনা গড়ায় গভীর রাত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত যা খবর ডার্বি কলকাতায় থাকার সম্ভাবনা প্রবল যদি ম্যাচ ৭.৩০-র পরিবর্তে ৮টায় হয়। নির্ধারিত দিনেই। শুধু বদলাচ্ছে সময়। তা নিয়েই টানাপড়েন অব্যহত। টেলিকাস্ট চ্যানেল আধঘণ্টার বেশি সময় পিছতে নারাজ। আর তাতেই আবার ঝুলে থাকল ডার্বির ভাগ্য। আর তার মধ্যেই ফিরে আসছে জামশেদপুরের নাম।

প্রাথমিকভাবে উঠে আসছিল ম্যাচের দিন বদল করার কথা। ১১ মার্চ এই ম্যাচ করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান তাতে রাজি থাকলেও ১৩ মার্চ অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে হাবাসের দলের। সেই ম্যাচ একদিন পিছিয়ে দেওয়ার শর্তেই ইস্টবেঙ্গলের কথায় রাজি ছিল মোহনবাগান। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এর পর শোনা যায় ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকে হতে পারে ম্যাচ কিন্তু জাতীয় দলে টপ প্লেয়ারদের ছেড়ে দিয়ে কোনও দলই ডার্বি খেলতে নামতে চাইবে না বিশেষ করে মোহনবাগান। কারণ এর আগে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।

এই প্রস্তাব শুরুতেই বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এবার ভীষনভাবে উঠে আসে ভিনরাজ্যে ম্যাচ স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব। প্রাথমিকভাবে ভুবনেশ্বরের নাম শোনা গেলেও সোমবার সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল জামশেদপুরের কথা। কিন্তু রাত বাড়তেই ঘরের ম্যাচ ঘরেই ফিরে আসার খবর পাওয়া যায়। এটা ঠিক কোনও দলই চাইবে না কলকাতার বাইরে ডার্বি হোক। এটাই এমন একটা ম্যাচ যা ভারতীয় ফুটবলের আবেগকে বহন করে চলেছে।‌ এই ম্যাচেই ভরে যায় যুবভারতীর ৬৫ হাজারের গ্যালারি। যখন এক লাখ ২০ হাজারের গ্যালারি ছিল তখনও একই ভাবেই ডার্বির মাঠ কাঁপাত সমর্থকরা। এই ম্যাচ থেকেই ক্লাবগুলো একটু টাকার মুখ দেখে। সেই ম্যাচ বাইরে চলে যাওয়া যতটা হতাশার ক্লাবের জন্য ততটাই কষ্টের সমর্থকদের জন্য। তাই ঘরের আবেগকে ঘরেই রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না ইস্টবেঙ্গল।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments