সুচরিতা সেন চৌধুরী: পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন মিনিট খানেক আগেই। আর সেই ক্রোমা নেমেই খেলা ঘুরিয়ে দিলেন। মোহনবাগানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন তিনি। ৮৭ মিনিটে জয়েশ রানের জায়গায় নেমে ৯১+১ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেন। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েই আইএসএল শুরু করে দিল মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে যেখানে শেষ করেছিল মোহনবাগান সেখান থেকেই যেন শুরু করল আইএসএল। সেই প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগানের আর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে বসা। খেলার ফল ২-২।
খেলাটা শুরু করেছিল মুম্বই সিটি এফসিই। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে ২–০ গোলে এগিয়ে থাকল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রথমার্ধ শেষে এটা বলাই যায়, খেলল মুম্বই, এগিয়ে থাকল মোহনবাগান। শুক্রবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল ২০২৪-২৫ মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ চিরশত্রু মুম্বই এফসি। যে ম্যাচ দিয়ে গত মরসুম শেষ হয়েছিল, সেই ম্যাাচ দিয়েই শুরু হয়ে গেল এই মরসুম। প্রি-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে মুম্বই কোচ ক্রাতকি বলেই দিয়েছিলেন গত মরসুমের খেলা ধরে রাখতে চাইবেন। গতবার তিনি প্রথমবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, এবার তাঁর দ্বিতীয় বছর। দলকে আরও সাফল্য দিয়ে থেকে যেতে চান তিনি। তাই এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মুম্বই সিটি এফসি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফিরল মোহনবাগান। তবে গোল হজম করে বসল।
শুরুতেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মুম্বই। কিন্তু অল্পের জন্য তা মিস হয়। বিপিনের শট গোলে গেলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। তবে তার ছয় মিনিটের মধ্যেই গোল করে ফেলেছিল মুম্বই। কিন্তু নিজের গোলেই। ৯ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর একটি দুর্বল ক্রস প্রথমে মুম্বই গোলকিপার ফুরবা লাচেনপার হাতে লেগে ছিটকে আসে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিরি নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেয়। শুরুতেই সেমসাইড গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এর পর মুম্বইয়ের আক্রমণ কিছুটা ধাক্কা খায়। আর সেই সুযোগে দ্বিতীয় গোল করে ফেলে মোহনবাগান।
এবার অবশ্য নিজেদের উদ্যোগেই অসাধারণ আদান-প্রদানের নজির রেখে গেলেন মোহনবাগান প্লেয়াররা। কর্নার থেকে উড়ে আসা একটা বল বক্সের বাঁদিকে পেয়ে গিয়েছিলেন জেসন কামিন্স। তিনি পাস দেন আশিস রাইকে। বাঁ দিক থেকে আশিস উঁচু করে বক্সের মধ্যে বল রাখেন। সেই বল মাথা দিয়ে নামিয়ে সঠিক প্লেসমেন্ট করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অপেক্ষায় ছিলেন অ্যালবার্টো রডরিগেজ। তাঁর বাঁ পায়ের দুরন্ত শট চলে যায় গোলে। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে একটু একটু করে খেলায় ফেরে মোহনবাগান। রক্ষণ থেকে আক্রমণে নিজেদের সংঘবদ্ধ করে। যার প্রভাব আরও বেশি করে দেখা যায় দ্বিতীয়ার্ধে। তবে গোল হজম করে বসে।
শর্ট কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন মুম্বই সিটির তিরি। সেখানে হাজির ছিলেন মোহনবাগানের একাধিক ডিফেন্ডার। তিরির ছোট্ট টোকা আশিস রাইয়ের পা ছুঁয়ে চলে যায় গোলে। সেমসাইড গোল করে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে দেওয়ার ভুল শুধরে নিলেন দলের হয়ে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে। ৭০ মিনিট ১-২ করল মুম্বই সিটি। আর শেষ কাজটি করে গেলেন পরিবর্ত ক্রোমা।
মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, আশিস রাই, দীপেন্দু বিশ্বাস, অ্যালবার্তো ররডরিগেজ (থমাস আলড্রেড), শুভাশিস বোস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, লালেংমাউইয়া রালতে, অভিষেক সূর্যবংশী (অনিরুদ্ধ থাপা), লিস্টন কোলাসো (সাহালা আব্দুল সামাদ), দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্স (সুহেল ভাট)
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার