অলস্পোর্ট ডেস্ক: কাতারে আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ-এ ভারতীয় দল তাদের অভিযান শুরু করছে ১৩ জানুয়ারি থেকে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মূলপর্বে ভারত এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার অংশ নিচ্ছে। গ্রুপ পর্বে ভারত তাদের গ্রুপে ক্রমতালিকায় থাকা সবচেয়ে নীচের দল হলেও তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এই টুর্নামেন্টে তাদের ফল নিয়ে আশাবাদী হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা এশিয়ান কাপে ভারতীয় দলের ফুটবলারদের প্রতিটি অ্যাকশনের টাটকা সম্প্রচার দেখার ব্যাপারেও আগ্রহী। তাদের এই চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা করেছে জিও সিনেমা ও স্পোর্টস ১৮। এই দুই প্ল্যাটফর্মেই দেখা যাবে ভারতের প্রতিটি ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার। টিভিতে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলের সঙ্গে মোবাইলে জিও সিনেমা অ্যাপে যে ভাবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ম্যাচগুলি দেখা যায়, সে ভাবে এশিয়ান কাপের ম্যাচগুলির টাটকা সম্প্রচার দেখা যাবে।
ভারতীয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিমাচের নেতৃত্বে শনিবারই সুনীল ছেত্রীরা পৌঁছে গিয়েছে দোহায়। সেখানেই এশিয়ার সেরা আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসরে নামার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শিবির শুরু করেছে তারা। ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। দলের প্রত্যেকেই চলতি আইএসএলে যথেষ্ট ভাল ফর্মে রয়েছেন। এই দলে কলকাতার দুই আইএসএল দলের ন’জন খেলোয়াড় রয়েছেন। সাতজন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ও দু’জন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র। বাংলার দুই ফুটবলার রয়েছেন স্টিমাচের স্কোয়াডে।
এই নিয়ে পঞ্চমবার এশিয়ান কাপে অংংশ নিতে চলেছে ভারত। এ বার তাদের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারি, ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল পাঁচটায়। ১৮ জানুয়ারি ভারতীয় দল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮ জানুয়ারি, রাত আটটায়। এই দুটি ম্যাচই হবে আল রায়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে। লিগ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ ২৩ জানুয়ারি, বিকেল পাঁচটায়, আল খোরের আল বায়েত স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচই লাইভ দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপে ও স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে।
ফিফা ক্রমতালিকায় বর্তমানে ১০২ নম্বরে রয়েছে ভারত। ক্রমতালিকায় অস্ট্রেলিয়া রয়েছে ২৫ নম্বরে। তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ সিরিয়া ও উজবেকিস্তান রয়েছে যথাক্রমে ৯১ ও ৬৮ নম্বরে। অর্থাৎ ভারত তাদের গ্রুপে সবচেয়ে নীচে থাকা দল। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলাররা যদি নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেন, তা হলে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে নতুন ইতিহাস গড়তে পারে তাঁরা।
এই টুর্নামেন্টে মোট ছ’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ২৪টি দলকে। ভারত রয়েছে গ্রুপ বি-তে। প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দু’টি দল প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। ভারত তাদের গ্রুপে সেরা দুইয়ে থাকতে পারবে কি না, সেটাই দেখার। অবশ্য ছ’টি গ্রুপের তিন নম্বর দলগুলির মধ্যে সেরা চারটির মধ্যে থাকলেও ১৬ দলের নক আউট রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা পাওয়া যাবে।
২০১১-তেও এএফসি এশিয়ান কাপ হয়েছিল এই কাতারেই। সে বারও ভারতীয় দল অংশ নেয় এবং সেই দলের দুই সদস্য সুনীল ছেত্রী ও গুরপ্রীত সিং সান্ধু এ বারেও স্টিমাচের দলে রয়েছেন। বাহরিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সে বার গোলও করেন সুনীল।
এই নিয়ে পঞ্চমবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে অংশ নিতে চলেছে ভারত। ১৯৬৪, ১৯৮৪, ২০১১ ও ২০১৯-এ অংশ নেয় ভারত। ১৯৬৪-তে রানার্সেরও খেতাবও অর্জন করে তারা। এ বার মহদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবলের আসরে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে ভারতই।
(লেখা আইএসএল ওয়েব সাইট থেকে)
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার