অলস্পোর্ট ডেস্ক: আগেই ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডে অভিযুক্ত আকাশ দাস ও রাহুল সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের ১৪দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। মঙ্গলবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বৌবাজার থানার পুলিশ। তাঁর নাম সুজয় ভৌমিক। তিনি নাকি আকাশ দাসের ঘনিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে সুজয় বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার তালে ছিলেন। পুলিশ তাঁর সেই প্রচেষ্টা হতে দেয়নি। পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁকে ধরে ফেলায়। কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল যেভাবে সক্রিয় ভুমিকা নিচ্ছে ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে, তাতে আরও নাম উঠে আসার সম্ভাবনা। এমনকি কলকাতা ময়দানের নামী প্রাক্তন ফুটবলার জড়িত থাকতে পারেন। তদন্তের স্বার্থে কোনও নাম এখনই সামনে আনছে না কলকাতা পুলিশ, যাতে সেই ব্যক্তি সাবধান না হয়ে যায়।
কলকাতা পুলিশের হাতে ২ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পরই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত প্রচারমাধ্যমকে ডেকে বলেন, ‘২ বছর আগে ২০২৩ সালে বিভিন্ন মহল থেকে ফিক্সিং নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের দারস্থ হন গোটা বিষয়টির সত্যতা খুঁজে বের করতে। একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে। অনেকদিন ধরেই এনিয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসছিল। কলকাতা ময়দানে বিভিন্ন ক্লাবের ফিজিও হিসেবে কুন্তল চক্রবর্তীর মাধ্যমে অনেক তথ্য আমার হাতে এসেছিল। সেগুলি কলকাতা পুলিশকে দি। তারা এটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে সাফল্য পেয়েছে। তার জন্য তাদের ধন্যবাদ। নগরপাল মনোজ ভার্মার নেতৃত্বে একটা বড় ব্রেকথ্রু ঘটেছে। আশা করছি, আরও বেশ কিছু নাম সামনে আসবে।’
কলকাতা ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিং নতুন কোনও ঘটনা নয়। এনিয়ে বিভিন্ন সময় অনেক অভিযোগ এসেছে। আইএফএ কমিশনও বসিয়েছিল। তবে এব্যাপারে গ্রেপ্তার হওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম। বিশেষ করে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে বিদেশি সংস্থা ও বিদেশি লগ্নি হচ্ছে বলে বেশি উদ্বিগ্ন আইএফএ ও কলকাতা ফুটবল মহল। এখন দেখার কলকাতার পুলিশের গ্রেপ্তার কান্ডের পর ম্যাচ ফিক্সিংয়ে আদৌ রাশ টানা সম্ভব কিনা? আইএফএ সচিব আশাবাদী।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





