অলস্পোর্ট ডেস্ক: ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তিনি নিজেও সে বিষয়ে নিশ্য়তা দিতে পারেননি। কিন্তু দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ দেওয়ার পরের মরসুমে দলকে বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছে দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন তিনি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তাঁরই অসাধারণ ফ্রি কিকেই জয় তুলে নিল আর্জেন্টিনা। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন মেসির ফ্রি কিক। ১-০ গোলে জিতে এগিয়ে থাকল আর্তেজেন্টিনা।
এটি ছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে মেসির ১৭৬তম ম্যাচ। কোনও পরিস্থিতিতেই যে লিও মেসির ফুটবল বদলে যায় না তা আরও একবার প্রমান করে দিলেন তিনি। ইউরোপ থেকে আমেরিকা, যেখানেই তিনি সেখানেই তাঁর ম্যাজিক অব্যহত। বরং বলা যায় তাঁর পায়েই তখন লেখা হয় সেই দলের সাফল্য। এমএলএল-এর এক অনামী দলকে যেভাবে বিশ্ব দরবারে বিখ্যাত করে তুললেন তাতে মেসি নামটাই যে যথেষ্ট তা প্রমান হয়ে গেল। সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আসলে নিজের সেরাটাই দিতে চান যেখানেই যান না কেন।
স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ ৭৮তম মিনিটে ইকুয়েডরের পেনাল্টি এলাকার বাইরে ফ্রি-কিক আদায় করে নেন। আর যেখানে মেসি সেখানে স্পট কিক-ও দর্শনীয় হয়ে ওঠে। তাঁর সেই চেনা মাপা শট ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেজের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। গোলরক্ষক থেকে ইকুয়েডর ওয়াল কিছুই আটকাতে পারেনি সেই গোলার মতো শট। বলা যায়, মেসির শট আটকানোর কোনও সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের কাছে।
এমএলএস দল ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মেসি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতা তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছে। আর তাঁকে সঠিক জায়গা দিলে তিনি যে অসাধ্য সাধন করতে পারেন তা তো দেখতেই পাচ্ছে গোটা দুনিয়া। এখন নিশ্চই হাত কামড়াচ্ছেন পিএসজি-র কর্তারা। ইন্টারের হয়ে মেসি উদ্বোধনী লিগ কাপেও গোল্ডেন বুট পুরস্কার জিতে নিয়েছেন, মাত্র সাত ম্যাচে ১০ গোল করেছেন।
বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোল করার সঙ্গে সঙ্গে মেসি বার্সেলোনার প্রাক্তন সতীর্থ উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় স্কোরারের রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেললেন।আর্জেন্টিনার হয়ে এটি ছিল তাঁর ২৯তম গোল।
আর্জেন্টিনাকে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন্তু যখনই আর একটি বিশ্বকাপ খেলার বিষয়টি (২০২৬ সালে) উত্থাপিত হয় তখনই তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। কারণ ২০২৬ এখনও অনেকটাই দূরে। ততদিন পর্যন্ত নিজের সেরা ফর্ম তিনি ধরে রাখতে পারছেন কিনা সেটাই তিনি দেখতে চাইছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারণ মেসি কখনওই চাইবেন না দলের বোঝা হতে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার