অলস্পোর্ট ডেস্ক: ইঙ্গিতটা প্রথম ম্যাচ থেকেই দিয়ে রেখেছিল কলকাতার তৃতীয় প্রধান। তৃতীয় ম্যাচেই ফল দেখা গেল হাতে নাতে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়েরই মাঠে ১-০ গোলে জিতে আইএসএল ২০২৪-২৫-এ আগমনে প্রথম জয় পেল মহামেডান এসসি। যা লেখা থাকবে সাদা-কালো ব্রিগেডের ইতিহাসে। এই জয়ই তাদের লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরে তুলে দিল।
চেন্নাইয়িন এফসি ঘরের মাঠে দাপটের সঙ্গেই খেলা শুরু করে, মহমেডান এসসির রক্ষণে ক্রমশ চাপ তৈরি করতে থাকে। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই কনার শিল্ডের কর্নার অল্পের জন্য গোলে পাঠাতে পারেননি ইরফান ইয়াদওয়াদ।১৩ মিনিটে আবারও শিল্ডস গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তিনি প্রতিপক্ষের ১৮ গজ এলাকায় একটি নিখুঁত ক্রস রাখেন। গোলরক্ষক পদম ছেত্রীর দক্ষতায় সেই বল কর্নারের পরিবর্তে বাইরে যায়। পুরো ম্যাচে মহমেডান গোলরক্ষক একাধিক চেন্নাইয়ন সুযোগকে গোলে রূপান্তরিত করতে দেননি।
মহমেডান এসসি তাদের প্রথম ইতিবাচক গোলের সুযোগ পায় ৩৩ মিনিটে। লালদিনলিয়ানা রেনথলেই-এর কাছ থেকে একটি হেডার থেকে বল পেয়ে যান অ্যালেক্সিস গোমেজ। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের শট গোলরক্ষক শমীক মিত্রকে পাশ কাটিয়ে পোস্টে লেগে ফেরে। এর পরই গোলের রাস্তা খুলে ফেলে মহমেডান। লালদিনপুইয়ার একটি মিসপাস চেন্নাই গোলকিপার বুঝতে পারেননি। লালদিনপুইয়া বল নিয়ে গোলের দিকে বল পাস করার আগেই শমীক তাঁর জায়গা ছেড়ে অনেকটাই বেড়িয়ে গিয়েছিলেন, এবং লালরেমসাঙ্গা ফানাইয়ের পায়ের হালকা টোকাই যথেষ্ট ছিল ফাঁকা গোলে বল ঠেলে মহমেডানকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। তখনও ম্যাচের অনেকটা সময় বাকি, ম্যাচের ফল যে এটাই থেকে যাবে তা হয়তো কেউ ভাবেননি। বদলাতেও পারত ফল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চেন্নাইয়িন এফসি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে। ৫৪ মিনিটে, লুকাস ব্রাম্বিলা পেনাল্টি এলাকায় একটি অসাধারণ কর্নার রাখেন কিন্তু রায়ান এডওয়ার্ডস হেড করার চেষ্টা করলেও তা গোল করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষের দিকে মরিয়া হয়ে ওঠে চেন্নাই দল। পর পর আক্রমণ শানাতে শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে মহমেডান রক্ষণ ও শেষরক্ষণ নিশ্চিত করে ফেলেছে আর গোল হজম করা যাবে না শেষ মুহূর্তে। আইএসএল-এর দ্বিতীয় ম্যাচই জয়ের মুখ থেকে ড্র করে এসেছে মহমেডান। দুরন্ত ফুটবল খেলেও এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এবার আর সেটা চাননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত যেমন চেন্নাইয়ের গোলের চেষ্টা প্রতিহত করেছে দল তেমনই গোলের সুযোগও তৈরি করেছে।
সাত মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মানজোকি। বক্সের মধ্যে লালদিনপুইয়া তাঁকে ফাউল করলে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন সেন্ট্রাল আফ্রিকার ফরোয়ার্ড। ব্যর্থ পেনাল্টির পর প্রতি আক্রমণে সমতা আনার সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ব্রামবিলা। কিন্তু তাঁর শট গোল লাইনে সেভ করেন জুডিকা। জর্ডন ও রায়ান এডওয়ার্ডও গোলের সামনে সুযোগ পান। কিন্তু কোনও ভাবেই প্রতিপক্ষের গোলের দরজা খুলতে পারেননি তাঁরা।
৫ অক্টোবর কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হবে মহমেডান।
মহমেডান এসসি দল (৪-২-৩-১): পদম ছেত্রী (গোল), জুডিকা, জোসেফ আজেই, গৌরব বোরা, জোডিংলিয়ানা রালতে আদিঙ্গা (অ), অমরজিৎ সিং কিয়াম, মিরজালল কাসিমভ, অ্যালেক্সি গোমেজ (সিজার মানজোকি- ৮৮), লালরেমসাঙ্গা ফানাই, কার্লোস ফ্রাঙ্কা (মহম্মদ ইরশাদ- ৮৩), মাকান চোঠে (বিকাশ সিং- ৬৮)।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার