অলস্পোর্ট ডেস্ক: এই চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই চেন্নাইয়ের মাটিতে অভিষেক আইএসএল-এ প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল মহামেডান এসসি। ১১ ম্যাচ পর গত ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখে সাদা-কালো ব্রিগেড। তাও আবার বেঙ্গালুরু এফসির মতো শীর্ষস্থানীয় দলের বিরুদ্ধে। তাঁর পরের ম্যাচেই নিজেদের ঘরের মাঠে আবারও সেই চেন্নাইয়ন এফসিকে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে তিন পয়েন্ট নিয়ে যেতে দিল না কলকাতার দল। বুধবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাদের ঘরের ম্যাচে চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে নাটকীয় ২-২ ড্র নিশ্চিত করে মহামেডান।
চেন্নাইয়ন এফসি দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিল এদিন। সেই দাপট ধরে রেখেছিল প্রায় শেষ পর্যন্ত। জয় যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই অঘটন ঘটাল মহামেডান। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেন্নাই। প্রথমে মহমেডানের ব্যবধান কমান মনভীর। আর শেষ মূহূর্তে চেন্নাইয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন রেমসাঙ্গা। ম্যাচ শেষে খেলার ফল দাঁড়ায় ২-২। ১৬ ম্যাচে মহমেডানের পয়েন্ট ১১।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল হজম করে বসে মহমেডান। প্রথম কর্নার থেকে প্রথম পোস্টের সামনে বল রাখেন কোনর শিল্ডস। সেই বল যখন হেড করে গোল করেন ডিফেন্ডার লালদিনপুইয়া, তখন তিনি ছিলেন সম্পুর্ণ অরক্ষিত। মহমেডান ডিফেন্ডাররা উইলমার জর্ডন গিল, ইরফান ইয়াডওয়াডদের আটকাতে ব্যস্ত থাকলেও প্রথম পোস্টের সামনে থাকা লালদিনপুইয়াকে কেউই খেয়াল করেননি। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা মহমেডান দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরে আসার আগেই তাদের ওপর আরও একটি গোলের বোঝা চাপিয়ে দেয় চেন্নাইয়ন, যখন প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল করে দেন লুকাস ব্রামবিলা।
দু’গোলে এগিয়ে থাকা চেন্নাইয়ন এফসি নিশ্চিত জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। কিছুটা আত্মতুষ্টও হয়ে পড়ে। সেই সুযোগেই ক্রিজে লাগায় মহামেডান। বক্সের ডানদিক থেকে মনবীরকে লক্ষ্য করে বল পাঠান পরিবর্ত হিসেবে নামা মকান চোঠে। বক্সের মধ্যে চলতি বলেই ঘুরে শট নেন মনবীর, যা দ্বিতীয় পোস্টের দিক দিয়ে গোলে ঢুকে যায়।তখনও সাত মিনিট সময় বাকি ম্যাচের।
ব্যবধান কমিয়ে সমতায় ফেরার লড়াইয়ে নামে মহামেডান। একেবারে শেষ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ফের গোলে শট নিতে যান মনবীর। কিন্তু তার আগেই পিছন থেকে তাঁর পায়ে আঘাত করেন লালদিনপুইয়া। এই বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তিনি লাল কার্ড দেখেন এবং মহমেডানও পেনাল্টি পেয়ে যায়। এ বার আর কাসিমভ নন, ঘরের মাঠে সমর্থকদের তুমুল উল্লাসের মধ্যে ঠাণ্ডা মাথায় দুর্দান্ত স্পট কিক নেন লালরেমসাঙ্গা, যা নাওয়াজকে পরাস্ত করে ডান দিক দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। এর সঙ্গেই খেলা শেষের বাঁশিও বাজিয়ে দেন রেফারি।
মহমেডান এসসি দল (৪-৩-৩): পদম ছেত্রী (গোল), জুডিকা, জো জোহেরলিয়ানা, ফ্লোরেন্ট অগিয়ে, আদিঙ্গা (মমহম্মদ জাসিম-৯৫), মহম্মদ ইরশাদ, মির্জালল কাসিমভ (মকান চোঠে-৯৫), অমরজিৎ সিং কিয়াম (অ্যাডিসন সিং-৪৫), লালরেমসাঙ্গা ফানাই, কার্লোস ফ্রাঙ্কা, বিকাশ সিং (মনবীর সাইনি-৫৬)।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার