অলস্পোর্ট ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যেই গোয়া পৌঁছে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। সুপার কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মোহনবাগান এসজি গোয়া যাবে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার দু’প্রধানেরই খেলা রয়েছে। কলকাতার আর এক প্রধান মহমেডানের খেলা দেরি আছে। ৩০ অক্টোবর বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে তাদের সুপার কাপ অভিযান শুরু হবে।
কিন্তু মহমেডান সুপার কাপে লড়ার জন্য কতটা তৈরি? ফিফার দেওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যান ঘাড়ে চেপে বসে আছে। আগের বিদেশি কোচ, ফুটবলারদের বকেয়া মাইনে না মেটাতে পারায় জরিমানার সঙ্গে এই কড়া শাস্তি। মহমেডানের ভাঁড়ে মা ভবানী। আর্থিক সংকট এমন পর্যায় যে সুপার কাপে দল পাঠাতে কর্তারা হিমসিম খাচ্ছেন। তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশি আগে থেকে ফুটবলারদের অনুশীলনে ডেকে প্রস্তুতি শুরু করার সুযোগ নেই। কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু আভাস মিলেছে, তাতে বোঝা গেছে শনিবার থেকে সুপার কাপের জন্য অনুশীলন শুরুর একটা উদ্যোগ নিয়েছেন কর্তারা। ম্যাচের দু’দিন আগে দল পাঠানোর ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যান থাকায় নতুন মরশুমে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেও পাকা চুক্তি করা বা নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ হয়নি। টাকা থাকলে, তবে তো বকেয়া মেটানো সম্ভব হবে। সঙ্গে ফিফার জরিমানা মেটানো। তাই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ ও ডুরান্ডে খেলা ফুটবলারদের নিয়ে একটা ভাঙাচোরা দল পাঠিয়ে নিজেদের মুখ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন মহমেডান কর্তারা। সুপার কাপে প্রস্তুতির খরচ, গোয়া যাতায়াতের বিমানভাড়া আর হোটেল থাকাখাওয়ার টাকা নিজেদের পকেট থেকে দিয়ে আপাতত সামাল দিচ্ছেন কর্তারা।
এছাড়া আর উপায় কী? সুপার কাপে না খেললে ফেডারেশনের আরও বড় কোপে পড়ার সম্ভাবনা। আই লিগে প্রোমোশন পেয়ে কষ্ট করে আইএসএলে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর ফেডারেশন বা তাদের নতুন বানিজ্যিক সংস্থা আইএসএল থেকেল ছাঁটাই করে দিলে আপসোসে হাত কামড়াতে হবে। তাই সুপার কাপে ফলাফল কী হল, সেটা বড় কথা নয়, অংশগ্রহণটাই জরুরি। মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর কোচিংয়ে দল যতটা লড়ে, ততটাই লাভ।
এর মাঝেই স্পনসর খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্তারা। যদিও তেমন ফলপ্রসূ কিছু ঘটেনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উদ্যোগ নিয়ে টেকনো ইন্ডিয়াকে মহমেডান আর্থিক সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা প্রথমে আগ্রহ দেখিয়ে পরে আর এব্যাপারে একপাও এগোয়নি। সম্প্রতি আবার মহমেডান কর্তাদের সঙ্গে টেকনো ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসে যে টাকা দিতে চেয়েছেন বিশেষ শর্তে, সেটা মহমেডানের বর্তমান আর্থিক চাহিদার তুলনায় খুব কম। তা দিয়ে নানা মেটানো যাবে বকেয়া মাইনে, ফিফার জরিমানা, বাজারে পড়ে থাকা ভেন্ডারদের ধার, সঙ্গে নতুন মরশুমের দলগঠনের জন্য ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির টাকা। সুতরাং বলতে অসুবিধা নেই, মহমেডান যে তিমিরে ছিল, সেখানেই আছে।
আইএসএল শুরু হতে ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরু। তার মধ্যে মহমেডান যদি আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারে নতুন স্পনসর জোগাড় করে, তাহলে তাদের আইএসএল খেলা সত্যি খুব কঠিন হয়ে যাবে। এটা বুঝে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বারবার তাঁরা অনুরোধ আবদার করছেন একটা শক্তপোক্ত স্পনসর জোগাড় করে দিতে। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রী এরপর কী করেন কলকাতার ঐতিহ্যশালী মহমেডান ক্লাবের ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব রক্ষায়।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





