অলস্পোর্ট ডেস্ক: ভোররাতে শহরে পৌঁছেই বসে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচের হটসিটে, তাও আবার ডার্বির মঞ্চে। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা। যদিও প্রতিবাদের শহরে, জাস্টিসের দাবিতে এদিনও যৌথভাবে সোচ্চার ছিলেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা। কিন্তু খেলা শুরু হতেই দুই পক্ষ আলাদা। এই ৯০ মিনিট তাঁরা একে অপরের শত্রু। তার মধ্যেই যেমন ছিল ইস্টবেঙ্গলের নবাগত কোচ অস্কার ব্রুজোঁর অভিষেক, তেমনই তাঁর দলের সামনে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। উল্টোদিকে সবুজ-মেরুন শিবিরের সামনে ছিল শুধুই জয়ের লক্ষ্য। যাতে তারা সফল।
আরও একবার আইএসএল-এর ইতিহাসে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বি শেষে জ্বলল সবুজ রঙমশাল, উড়ল মেরুন আবীর। ২-০ গোলে জিতে আইএসএল লিগ টেবলে নিজেদের জায়গা শক্ত করল মোলিনার ছেলেরা। তার সঙ্গেই ধুঁয়োয় ঢাকল মাঠের একাংশ। যেখানে টিফো নিয়ে ঢুকতে হাজার বাঁধা সেখানে সমর্থকরা কী করে বাজি নিয়ে ঢোকেন সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তবে আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে এই যুবভারতীতে এখনও লাল-হলুদের মশাল জ্বলল না।
মোহনবাগানের হয়ে গোল দু’টি করলেন জেমি ম্যাকলারেন ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোলের পাশে আরও নাম লেখা হতে পারত।তাঁর মধ্যে অন্যতম মনবীর সিং। অফসাইডের জন্য বাতিল হল তাঁর গোল। প্রথমার্ধের শেষের দিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ম্যাকলারেন। ৪১ মিনিটে জেমির গোলের আগে যদিও একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করল মোহনবাগান। না হলে প্রথমার্ধেই একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সবুজ-মেরুনের। তার আগে অবশ্য ম্যাচ শুরুর ২৩ মিনিট পর্যন্ত রীতিমতো চাপে থাকল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে কিছুটা খেলায় ফেরে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। বরং গোল হজম করেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
যদিও এই হারের জন্য কোচকে দায়ী করা যাবে না। এই ইস্টবেঙ্গল দলকে অস্কার ব্রুজোঁর পক্ষে চাগিয়ে তোলা একটা বড় চ্যালেঞ্জ তো বটেই। তবে এদিন তিনি কোচের ভূমিকায় মাঠে থেকে প্রমান করে দিলেন তাঁর কাজটা শনিবার আইএসএল ২০২৪-২৫ ডার্বি থেকেই শুরু করে দিলেন। যদিও অভিষেকেই হারের মুখ দেখতে হল তাঁকে। দুই অর্ধে দুই গোল করে আইএসএল-এ পর পর ক্লিনশিট মোহনবাগানের।
বিতীয়ার্ধে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ আর গোলকিপারকে। এদিন লাল-হলুদ গোলের নিচে ছিলেন প্রভসুখন গিল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের সময় তাঁর অফফর্ম ভুগিয়েছে দলকে। সে কারণে পরের দিকে তিনি দেবজিত মজুমদারকে খেলিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ের মুখ দেখতে পায়নি দল। এদিন দলে ফিরে মোহনবাগানকে দ্বিতীয় গোল পাইয়ে দিলেন গিলই। বল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে পড়া দিমিত্রি পেত্রাতোসের পায়ে ঝাঁপিয়ে বল ধরতে গিয়ে ফাউল করে ফেলেন তিনি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি দিমি। আর এখানেই শেষ হয়ে। যায় ইস্টবেঙ্গলের সব আশা।
ইস্টবেঙ্গল: প্রভসুখন, প্রভাত (জোথাংপুইয়া), আনোয়ার, রাকিপ (লালচুংনুঙ্গা), হেক্তর, তালাল, সৌভিক, ক্রেসপো, নন্দ (জেসিন টিকে), ক্লেইটন (দিয়ামান্তাকোস), ডেভিড (বিষ্ণু)।
মোহনবাগান: বিশাল, আলড্রেড, আশিস, আলবার্তো, শুভাশিস, আপুইয়া, অনিরূদ্ধ (দীপক), লিস্টন (আশিক), মনবীর (সাহল), স্টুয়ার্ট (কামিংস), ম্যাকলারেন (দিমিত্রি)।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার