সুচরিতা সেন চৌধুরী: প্রথমার্ধেই সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগানের মিডিও আপুইয়াকে। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা মোহনবাগানের জন্য যা স্বাভাবিকভাবেই বড় ধাক্কা তো বটেই। যার ফল হাতে নাতে পেল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। যখন সমতায় ফিরল মহমেডান। বৃহস্পতিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপ ২০২৫-এর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। মহমেডানের জন্য ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ডায়মন্ডহারবারের কাছে হেরেই মিনি ডার্বি খেলতে নেমেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। যাদের নিয়ে ম্যাচের আগের দিন সমীহ শোনা গিয়েছিল মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়ের গলায়। যার প্রমান পাওয়া গেল এই ম্যাচে। তবে ১০ জনের মোহনবাগানকে আটকাতে ব্যর্থ সাদা-কালো রক্ষণ। বরং গোল করে ও করিয়ে এই ম্যাচর নায়ক লিস্টন কোলাসো। শেষটাও করলেন তিনিই পেনাল্টি থেকে। ৩-১ গোলে জিতেই ডুরান্ড যাত্রা শুরু করে দিল মোহনবাগান।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মোহনবাগানকে দেখা যায়। যার ফল ১০ মিনিটেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোনবাগান। কিন্তু থাপার থেকে পাওয়া পাস ধরেসুহেল ভাটের শট পোস্টে লেগে ফেরে। তার এক মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ চলে এসেছিল মহমেডানের সামনেও। কিন্তু তা থেকেও গোল হল না। এই পর্যন্ত দেখতে গেলে বেশ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের একটা রেশ ছিল যতক্ষণ না লিস্টন কোলাসো মোহনবাগানের হয়ে ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন। ২৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লিস্টনের গোলার মতো ফ্রিকিক চলে যায় মহমেডান গোলে। এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
এরপর থেকে প্রথমার্ধের শেষটা পুরোটাই মোহনবাগানের। তবে তার মধ্যেই ৪২ মিনিটে প্রতিপক্ষ মহমেডানের রাঘুইকে মাথা দিয়ে মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন আপুইয়া। হলুদ কার্ড দেখলন দীপেন্দু বিশ্বাসও। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা ১০ জনে খেলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা অবশ্য মহমেডান করে দিয়েছিল। তখন সবে ৫০ মিনিটই হয়েছে যখন লালথানকিমার দূরপাল্লার শট শরীর ছুঁড়ে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন বিশাল কাইথ। কিন্তু বল দখলে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। তাঁর হাত থেকে ছিটকে যাওয়া বল অ্যাশলে কোলির গোল লক্ষ্য করে মারা শট আর বাঁচাতে পারেননি মোহনবাগান গোলকিপার। অ্যাশলে কোলির বল ফলো করে পজিশন নেওয়ার প্রশংসা করতে হবে।
তবে এই সমতায় ফেরার মুহূর্ত বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মহমেডান। ৬৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায মোহনবাগান। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে উঠে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে একাই কাটিয়ে বাঁ দিকে বক্সের বাইরে থাকা সুহেল ভাটকে ব্যাকহিল করে মাপা বল বাড়িয়েছিলেন লিস্টন। এবার আর ভুল করেননি সুহেল। শুরুতেই যে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন তা শুধরে নিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। ১০ জনে হয়েও ২-১ গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে দলে চারটি পরিবর্তন করলেন কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। কিন্তু লাভ কিছু হল না। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি আদায় করে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করে থামলেন লিস্টে কোলাসো। পর পর দুই ম্যাচ হেরে ডুরান্ড কাপ শেষ হয়ে গেল মহমেডানের।
মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, অভিষেক সিং, দীপেন্দু বিশ্বাস, আশিস রাই, অভিষেক সূর্যবংশী, লিস্টন কোলাসো, অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, দীপক টাংরি, কিয়ান নাসিরি, সুহেল আহমেদ ভাট (লিওয়ান কাস্তানা)
মহমেডান: শুভজিৎ ভট্টাচার্য, দীনেশ মিতেই, পাওগোমাং সিংসন, জোসেফ লালমুয়ানাওয়া (মহারাবাম ম্যাক্সিওন), সাজাদ হোসেন, তাংভা রাগুই, সজল বাগ, যশ চিক্র, অ্যাডিসন সিং (লালগাইসাকা), অ্যাশলে অ্যালবান কোলি (বামিয়া সামাদ), লালথানকিমা (লালরো থিলাঙ্গা)
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





