অলস্পোর্ট ডেস্ক: অসুস্থ অ্যান্তোনিও হাবাস। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি দলের সঙ্গে নেই। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে ছাড়া হারের মুখ দেখতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। এবার ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। পঞ্জাব এফসি তাদের হোম ম্যাচ খেলছে দিল্লিতে। বিকল পাঁচটায় দিল্লির গরমে খেলাটা সহজ ছিল না। তার উপর পঞ্জাব এফসির হয়ে এেদিন ডাগ আউটে ছিলেন প্রাক্তন মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। যিনি জানেন এই দলের ফুটবল আবেগ। কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতাকে মাত দিয়ে জয় ফিরল মোহনবাগান। যদিও গোলের ব্যবধান ১-০।
এদিন ৩-৪-৩-এ দল সাজিয়েছিলেন মোহনবাগানের সহকারি কোচ। ফর্মেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল শুরু থেকেই আক্রমণে যাওয়াটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। ম্যাচের শুরু থেকেই সবুজ-মেরুনের তিনমূর্তি একাধিকবার বিপদে ফেলে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে। ৪০ মিনিট পর্যন্ত দলের শেষরক্ষণ সামলালেও ৪২ মিনিটে নতিস্বীকার করতে হয় তাঁকে।
৪২ মিনিটে শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খোলে মোহনবাগানের হয়ে দিমিত্রি। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর কলকাতার দল। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক শুভাশিস বোস। যা আটকে যায় গোলের মুখে। ফিরতি বল পেয়ে যান কামিংস। কিন্তু গোল করার মততো জায়গায় ছিলেন না তিনি। ততক্ষণে ভাল জায়গায় চলে গিয়েছেন দিমিত্রি। তাাঁকেই বল বাড়িয়ে দেন কামিংস। এই বোঝাপড়াটারই এতদিন অভাব খালি চোখেও দেখা যাচ্ছিল এই দুই ফরোয়ার্ডের মধ্যে। যা হয়তো আইএসএল-এর শেষবেলায় এসে মিটল। কামিংসের পাস থেকেই ম্যাচের একামাত্র গোলটি করলেন দিমত্রি পেত্রাতোস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে পঞ্জাব এফসি। ব্যস্ত থাকতে হয় মোহনবাগানের রক্ষণকে। কিন্তু তাদের সমতায় ফিরতে দেয়নি। ১-০ গোলে জিতে শিল্ডের আশা আবার জাগিয়ে তুলল মোহনবাগান। পঞ্জাবের শেষ ম্যাচ আরও এক কলকাতার দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। মোহনবাগান খেলবে বেঙ্গালুরু এফসি ও মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার