অলস্পোর্ট ডেস্ক: গত মরশুমের দল থেকে তিন বিদেশীকে অব্যহতি দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গতবার যিনি দলের মাঝমাঠে বাড়তি শক্তি এনে দিয়েছিলেন সেই জনি কাউকোকে শুক্রবার বিদায় জানাল সবুজ-মেরুন বাহিনী। এ ছাড়াও রক্ষণের দুই নির্ভরযোগ্য বিদেশী হেক্টর ইউস্তে ও ব্রেন্ডান হ্যামিলকেও একই সঙ্গে বিদায় জানাল তারা। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের দুই ভারতীয় সদস্য মহম্মদ রকিপ ও নিশু কুমারকে দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত মরশুমের মাঝামাঝি সময় চোট সারিয়ে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে ফেরেন ফিনল্যান্ডের ইউরো কাপার জনি কাউকো। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে তিনি মাঠে ফেরার পরই দলের পারফরম্যান্স অন্যরকম হয়ে যায়। টানা সাতটি ম্যাচে তারা অপরাজিত ছিল, যার মধ্যে ছ’টিতেই জেতে মোহনবাগান।
মরশুমে তাঁর তৃতীয় ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে দলের ৪-২ জয়ে তিনটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেন কাউকো। মার্চের শেষ সপ্তাহে চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে তিনি মরশুমের একমাত্র গোলটি করেন। তবে টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর সেই ম্যাচেই প্রথম হারে মোহনবাগান এসজি। লিগের শেষ দিকে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে একটি গোলে ফের অ্যাসিস্ট করেন তিনি। দলের প্রথম লিগশিল্ড জয়ে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্লে অফের তিনটি ম্যাচেই প্রায় পুরো সময় খেলেন তিনি। দলকে ফাইনালেও তোলেন। সব মিলিয়ে গত আইএসএলে ১৪টি ম্যাচ খেলে একটি গোল করেন ও চারটিতে অ্যাসিস্ট করেন কাউকো।
২০২১-এর জুনে কলকাতার ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর সে মরশুমে আইএসএলে ২০টি ম্যাচে তিনটি গোল করেন ও ছ’টি অ্যাসিস্ট করেন। কিন্তু পরের মরশুমে ছ’টি ম্যাচ খেলার পরেই পায়ে মারাত্মক চোট পেয়ে দেশে ফিরে যান। গত মরশুমের মাঝামাঝি ফিরে আসেন। সব মিলিয়ে আইএসএলে ৪০টি ম্যাচে ছ’টি গোল ও দশটি অ্যাসিস্ট আছে তাঁর। মাঝমাঠ থেকে যেমন বহু গোলের মুভ তৈরি করেছেন অভিজ্ঞ কাউকো, তেমনই সেন্টার লাইনের আশপাশ থেকে অনেক গোলের পাসও বাড়িয়েছেন তিনি। তাঁর মতো প্লে মেকার দলে না থাকায় অনেকটা শূন্যস্থান তৈরি হবে মোহনবাগানে।
সে রকমই ব্রেন্ডান হ্যামিল ও হেক্টর ইউস্তেও বিদায়ও সবুজ-মেরুন রক্ষণের অনেকটা ঘাটতি তৈরি করে দিল। এই ঘাটতি তারা কী ভাবে পূরণ করবে, সেটাই দেখার। গত বছর অগাস্টে মোহনবাগান এসজি-তে যোগ দেন ইউস্তে। ৩৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক গত আইএসএলে ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন ও ৩১টি ট্যাকল করেন। একটি গোলে অ্যাসিস্টও ছিল তাঁর। একাধিক গোললাইন সেভও করেন তিনি।
২০২২-এর জুনে মেলবোর্ন ভিক্টরি থেকে সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ব্রেন্ডান হ্যামিলও গত মরশুমে ১৪টি ম্যাচ খেলেন ও তার আগের মরশুমে ২০টি ম্যাচ খেলেন। এই তিন বিদেশীর পরিবর্তে কাদের নিয়ে আসবে গতবারের লিগশিল্ড চ্যাম্পিয়নরা, সেটাই দেখার। সেপ্টেম্বরে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে খেলবে মোহনবাগান। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জে সফল হতে গেলে তাদের ভাল দল গড়তে হবে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার