অলস্পোর্ট ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, ডুরান্ড কাপকে টিম ম্যানেজমেন্ট বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। রিজার্ভ টিম ডুরান্ড কাপে খেলবে। মূলত যুব দলের ফুটবলারের সঙ্গে হাত গোনা সিনিয়রদের নিয়ে ডুরান্ড লড়াইয়ের ময়দানে নামার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সেইমতো ২৬ জুলাই থেকে নতুন মরশুমের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা ছিল ঘরের ফুটবলারদের নিয়ে। বিদেশি ফুটবলারদের আসা শুরু হবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে। চিফ কোচ হোসে মোলিনারও সেসময় আসার দিন নির্ধারিত রয়েছে।
কিন্তু আগের ভাবনা থেকে সরে এসে ২দিন আগে ২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার থেকে ঘরের ফুটবলারদের নিয়ে রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সলেন্সের মাঠে অনুশীলন শুরু করল বাগান বাহিনী। সহকারী কোচ বাস্তব রায়ের তত্ত্বাবধানে। নবাগত অভিষেক সিং, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, বিশাল কাইথ সহ প্রায় সকলেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। শুধু আসা বাকি সাহাল আব্দুল সামাদের।
আইএসএল খেলা কিয়ান নাসিরি, সুহেল বাট, গ্লেন মার্টিন, দীপেন্দু বিশ্বাসরা যুব দলের সঙ্গে আগেই অনুশীলন শুরু করেছিলেন। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে কল্যানীতে ২৬ জুলাই ডার্বিতে তাঁদের ব্যবহারের লক্ষ্য রেখে। সিনিয়র দলের বাকি ফুটবলারদের নির্ধারিত সময়ের আগে নেমে পড়ার পিছনে অন্যতম কারণ ডুরান্ডকে হঠাৎই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া। তার জন্য যেমন ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুরোধ আছে ডুরান্ডের গরিমার কথা ভেবে মোহনবাগানকে পূর্ণশক্তি নিয়ে খেলার, তেমন ডুরান্ড কাপ জয়ের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ ও শিবিরের হুঙ্কারটাও ইগোর লড়াই হিসেবে নিয়েছে সুপার জায়ান্ট। এতেই ফাঁকা মাঠে লাল হলুদের ডুরান্ড কাপ জয়ের বাসনায় বাদ সাধতে তড়িঘড়ি প্রস্তুতিতে সবুজ মেরুন।
আর এটাই স্বাভাবিক। এর আগে পর্যন্ত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লক্ষ্য ছিল, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু-র খেলা, তারপর আইএসএল জেতার জন্য ঝাঁপানো। এখন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু-র খেলা নির্দিষ্ট সময় হলেও, আইএসএলের খেলা নভেম্বরের আগে হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, যদি তার মধ্যে সমস্যা মেটে। অতএব ডুরান্ডকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া ঠিক মনে করে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু-র প্রস্তুতিটা ভালভাবে সেরে নিতে চাইছে বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেটা করতে গিয়ে ডুরান্ড কাপটা যদি ঘরে এসে যায় ক্ষতি কী? গত মরশুমে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হারের জ্বালাও জুড়োবে।
তাছাড়া ডুরান্ড কাপে খেলা নিয়ে বেশ কিছু শর্ত রেখেছিল মোহনবাগান সংগঠকদের কাছে। তার অন্যতম হল শুরুতেই গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গল যেন না থাকে, মানে গ্রুপ পর্বেই যেন ডার্বি খেলতে না হয়। সংগঠকরা সে কথা রেখেছেন। মোহনবাগানের গ্রুপে আছে মহমেডান, ডায়মন্ড হারবার এফসি ও বিএসএফ। ৩১ জুলাই মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলা দিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু করবে সুপার জায়ান্ট। গ্রুপ পর্বে বাধা টপকে এগোতে পারলে টুর্নামেন্টে কোনও একটা পর্যায়ে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাই মোহনবাগান এসজি ডুরান্ড ডার্বির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চায়। সদস্য-সমর্থকদের আবেগের কথা মাথায় রেখে। কোনওভাবেই ইস্টবেঙ্গলকে ডুরান্ড কাপ দখলের কেকওয়াক করতে দিতে রাজি নয়।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার





