সুচরিতা সেন চৌধুরী: এসিএল২ মোহনবাগানের জন্য যে সহজ হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু খাতায় কলমে গ্রুপের বাকি দলগুলোর থেকে এফসি রাভাশান কিছুটা হলেও দুর্বল দল। সে কারণে মোহনবাগানকে টিে থাকতে ঘরের মাঠে এই ম্যাচ থেকেই পয়েন্ট তুলে নিতে হত। কিন্তু মোলিনার দলের খেলা তথৈবচ। যে গতিতে আইএসএল শুরু করেছিলেন তার থেকেও যেন কিছুটা পিছিয়ে পড়ল। আইএসএল ২০২৪-২৫-এর প্রথম ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ২-০ গোল করে এগিয়ে গেলেও তা ধরে রাখতে পাারেনি। ২ গোল হজম করে ড্র করেই থামতে হয়। এদিন প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখে দ্বিতীয়ার্ধে পৌঁছয় দুই দল। যেমন হতাশাজনক প্রথমার্ধ, তেমনই দ্বিতীয়ার্ধ। আর হতাশাজনক ম্যাচ শেষে খেলার ফল ০-০।
প্রথমার্ধে মোহনবাগানের খেলা তথৈবচ। যা দেখে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনও কারণই নেই। আত্মবিশ্বাসের অভাবেই পুরো ম্যাচটা ভুগলো কলকাতার দল। যেখানে এএফসির নিয়মে সাত বিদেশি খেলার অনুমতি রয়েছে সেখানে মোহনবাগানের হাতেই রয়েছে পাঁচ বিদেশি। তাঁদের তিন জনকে প্রথম একাদশে রাখলেও বাকি দু’জনকে বেঞ্চেই বসতে হল। প্রতিপক্ষ দলে বিদেশি বেশি থাকলেও তারা যে খুব উচ্চমানের নয় তা তাদের খেলাতেই প্রমাণ। গোলের মুখ খুলতে পারল না তারাও।
তাজিকিস্তানের এই দলের কোচ মামি ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে থাকা তাঁর বন্ধুদের থেকে খোঁজ খবর নিয়েই এসেছেন। তবে তাদের থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করল মোহনবাগান, এটাই যা। মোলিনাকে স্বস্তি দিতে পারে। গোলের সামনে গিয়ে গোলমিস যেমন চিন্তার কারণ তেমন এই ম্যাচে মোহনবাগান রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে পড়তে হল না। একবারই বিপদ হতে হতে বাঁচান বিশাল কাইথ। তাও সেই সেভে আত্মবিশ্বাস ছিল না।
এদিন মোহনবাগান যে দুটো সুযোগ পেল তা থেকে গোল হতেই পারত। প্রথম সুযোগটি আসে প্রথমার্ধে। ম্যাচের বয়স তখন ১৯ মিনিট। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গেলেও তা গোলে রাখতে ব্যর্থ হন দিমিত্রি। এই মরসুমে এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি গত মরসুমে দলকে ভরসা দেওয়া এই বিদেশি। আর দ্বিতীয় নিশ্চিত সুযোগটি এল দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের বয়স তখন ৭৫ মিনিটে। প্রায় মাঝ মাঠ থেকেই জেসন কামিংসকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন আপুইয়া। সেই বল ধরে একাই এগিয়ে যান কামিন্স। তাঁর গায়ে একজন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার থাকলেও আর কোনও প্লেয়ার ছিলেন না ধারে কাছে। সামনে শুধু গোলকিপার। তাও কামিন্সের শট জমা পড়ল গোলকিপারের হাতে।
শেষে আরও একটা সুযোগ এসেছিল লিস্টন কোলাসোর কাছে কিন্তু তিনি বল বাইরে পাঠান। শেষ মুহূর্তে গোলে বল পাঠিয়েই দিয়েছিলেন দিমিত্রি। কিন্তু অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। নির্ধারিত সময়র শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাাঠ ছাড়েন অধিনায়ক শুভাশিস। অতিরিক্ত সময়ে আবারও গোলের মধ্যে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোলে রাখতে ব্যর্থ মোহনবাগানের দিমিত্রি। গোলকিপার তা বাঁচিয়ে দেন। হালকা একটা পেনাল্টির আবেদন সেছিল মোহনবাগানের তরফে কিন্তু রেফারি তাতে কান দেননি। শেষ মুহূর্তে যে গোল করার তাগিদ দেখাল মোহনবাগান তা যদি শুরু থেকে দেখাত তাহলে হয়তো গোল পেলেও পেতে পারত। তবে এসিএল২-এর শুরুতে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, শুভাশিস বসু (আমনদীপ), দীপেন্দু বিশ্বাস, আলড্রেড, আশিস রাই, সাহাল আব্দুল সামাদ (লিস্টন কোলাসো), দীপক টাংরি (অভিষেক), অনিরুদ্ধ থাপা (আপুইয়া), মনবীর সিং (গ্রেগ স্টুয়ার্ট), দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার