অমরেন্দ্র চক্রবর্তী: তাঁর গোল নিয়ে কলকাতা মাঠে চর্চা চলছে। তাঁর গোলের ভিডিও পাঠানো হয়েছে ফিফার কাছে। দিনকয়েক আগে কলকাতা ফুটবল লিগে কাস্টমসের বিরুদ্ধে এরিয়ানের সৈকত সরকারের গোলের ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তিনিই নাকি ময়দানের ‘রোনাল্ডো’ ।
সবটাই শুনেছেন। যাঁর বাইসাইকেল গোল নিয়ে তুলনা টানা হচ্ছে। কেউ বলছেন, ‘শ্যাম থাপার মতো বাইসাইকেল ভলিতে গোল করেছেন সৈকত।’ কেউ বলছেন, ‘বিশ্বমানের গোল।’ কিন্তু সৈকতের সে সবে মন নেই। প্র্যাক্টিস শেষে দুপুরের চড়া রোদে বাড়ি ফেরার তাড়া। এরিয়ান মাঠে প্র্যাক্টিস করে শিয়ালদহ স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে ট্রেন ধরে কল্যাণীর বাড়িতে। বাবা নার্সারিতে কাজ করেন। একেবারে সামান্য বেতনে। ছয় বছর হয়ে গেল খেলছেন কলকাতা লিগে। কিন্তু সৈকত এখনও পাননি সাফল্যের হাতছানি।
তাঁর কথায়, ‘‘আমার গোল নিয়ে বহু ফোন আসছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন। কিন্তু তা দিয়ে কিছু হবে না। আরও সাফল্য চাই।’’ কল্যাণীর কোচ বিমান মণ্ডলের কাছে ফুটবলের হাতেখড়ি সৈকতের। সন্তোষ ট্রফির বাংলা টিমে এখনও খেলার সুযোগ হয়নি। করোনার কারণে দু’বছর খেলা বন্ধের মাসুল তাঁকেও গুণতে হয়েছে অন্যান্য ফুটবলারদের মতোই।
শহর কলকাতায় তাঁর গোল নিয়ে আলোচনা হলেও তিনি কোনও রকম আলোচনায় আগ্রহী নন। বাইসাইকেল গোল করার জন্য তিনি আলাদা প্র্যাক্টিস করেন না। তাঁর কথায়, ‘‘বলটা ঠিকমতো কানেক্ট করে গিয়েছিল। তাই গোল হয়েছে। অতীতে চেষ্টা করেছি বহুবার। কিন্তু হয়নি।’’ শ্যাম থাপার মতো প্রাক্তন কিংবদন্তিদের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হচ্ছে, সেটা ভালে ভাবে নিচ্ছেন না তিনি। বলছেন, ‘‘ওঁরা কিংবদন্তি। ওঁদের সঙ্গে কোনও তুলনাই চলে না।’’
কলকাতা ময়দানে তাঁর ডাক নাম ‘রোনাল্ডো’। মোবাইলে ফোন করলে ‘লালা রোনাল্ডো’ নামটা ভেসে আসে ট্রু কলারে। এ ক্ষেত্রে সৈকত বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি রোনাল্ডো ভক্ত। কিন্তু তা বলে সবাই কেন আমাকে রোনাল্ডো বলেন, তা আমি বলতে পারব না। রোনাল্ডোর গোল দেখতে আমার ভালে লাগে।’
কাস্টমস ম্যাচ এখন অতীত। এখন তিনি তাকিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিস ম্যাচের দিকে। পুরোনো টিমের বিরুদ্ধে তাঁকে খেলতে নামতে হচ্ছে চার ম্যাচ তিন গোলের নায়ক সৈকতকে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার