অলস্পোর্ট ডেস্ক: মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে অনেকদিনই হল। তা নিয়ে মাঝে মাঝেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আইএসএল-এর শেষের দিকে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দেখা গিয়েছে দুই পক্ষের স্বপক্ষে ব্যানার। সব মিলে ক্লাবের নির্বাচন ঘিরে রীতিমতো ফুটছে সদস্য, সমর্থকরা। তার মধ্যেই ক্লাব সভাপতি স্বপনসাধন বোসের পদত্যাগ তাৎপর্যপূর্ণ। সোমবার বিকেলে রীতিমতো ক্লাবের সচিব ও কার্যকরী সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে চিঠি দিয়ে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে দেন তাঁর পদত্যাগের কারণও।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা সবাই জানি যে মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচন আসন্ন। তার আগে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আর সেই কারণেই এই চিঠি। আমি বহু বছর ধরে মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে। মোহনবাগান ক্লাব আমার কাছে মাতৃসম। মোহনবাগান চিরকাল আমার হৃদয়ের বাঁদিকে ছিল, আছে থাকবে। নিজের সাধ্যমতো, মোহনবাগানের সেবা-যত্ন করার চেষ্টা করেছি। আর কতটা করতে পেরেছি, সবচেয়ে ভালো জানেন আমার প্রিয় সদস্য-সমর্থকরা। যাঁদের কাছে আমি টুটুদা বা শুধুই টুটু।’’
মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনী প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে নির্বাচনী বোর্ড ইতিমধ্যে গঠন হয়ে গিয়েছে। দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়া বাকি। তার মধ্যেই সভাপতির পদত্যাগ ইঙ্গিত দিচ্ছে এবার গুছিয়ে প্রচারে নামবেন তিনি। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি তাঁর পদত্যাগের চিঠিতে।
তিনি আরও লেখেন, ‘‘ক্লাবের নির্বাচন যেহেতু দোড়গোড়ায়, তাই সদস্যদের উদ্দেশে আমারাও কিছু বলা দরকার। কারণ, কোন কমিটি আসবে, তাতে কারা থাকবেন, তা ঠিক করবেন সদস্যরা। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসে থেকে সেই কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’’ আসলে তিনি সভাপতির চেয়ারে বসে কোনও একপক্ষের প্রচারে যুক্ত হতে চাননি। যা তাঁর কাছে পদের অপব্যবহার। এবার নির্বাচনে টক্কর দিতে নামছেন তাঁরই পুত্র সৃঞ্জয় বোস। এবার হয়তো তাঁরই প্রচারে নামবেন তিনি।
তিনি লেখেন, ‘‘চেয়ার বা পদের অপব্যবহার কখনও করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি, মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি, আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমার ইস্তফাপত্র গ্রহন করবেন। যাতে আমার মন যা বলছে, তা নিদ্বির্ধায় আমি আমার প্রিয় সদস্যদের বলতে পারি।’’
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার