অলস্পোর্ট ডেস্ক: গোলের নিচে বিশাল কাইথ, তাহলেই ৯০ শতাংশ স্বস্তিকে দলের রক্ষণ। মোহনবাগানের গোল নিচে টানা ভরসা দিয়ে চলেছেন তিনি। বাড়ছে তাঁর চাহিদা। সেই অবস্থায় কোনওভাবেই তাঁকে হাতছাড়া করতে নারাজ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সেরে ফেলল দল। ২০২৯ সাল পর্যন্ত মোহনবাগানের জার্সিতেই খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। চুক্তি করার পর বিশাল বলে, “সারাজীবন মোহনবাগানেই খেলতে চাই। সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালবাসা এবং আবেগ আমার কাছে এতটাই দামী যে বহু ক্লাবের প্রস্তাব তাকা সত্ত্বেও এই ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। সে জন্যই লম্বা চুক্তি করলাম।”
সদ্য শেষ হওয়া ডুরান্ড কাপে বার বার তাঁরই হাত রক্ষা করেছে মোহনবাগানকে। সে কোয়ার্টার ফাইনাল হোক বা সেমিফাইনাল। টাইব্রেকার আটকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। ফাইনালে সেটা আর পারেননি বিশাল। হারতে হয়েছে দলকে। উল্টোদিকে তখন আর এক গোলকিপার গুরমিত বাজিমাত করছেন। তবে বিশাল দলে থাকা মানেই ভরসা। পুরো দল এটা মেনে নিচ্ছেন, বিশাল গোলের নিচে থাকা মানেই স্বস্তি। শুভাশিসরা বলছেন, “বিশাল গোলের নিচে থাকা মানেই নিশ্চিন্তে জয়ের জন্য ঝাঁপানো যায়।”
হিমাচল প্রদেশের রোহরু জেলা থেকে উঠে আসা বিশাল একসময় ভেবেছিলেন উইকেটকিপার হবেন। স্কুলে তাঁকে দুই ভূমিকাতেই দেখা যেত। বিশাল বলছেন, “উইকেটকিপার হিসেবে স্কুলে আর পাড়ায় খেলাটা আমার এখন কাজে লাগছে। ছোট বলে সফল বড় বলে সাফল্য পাওয়াটা সহজ হয়ে যায়।” এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “গোলকিপরের জীবনটা অদ্ভুত। একটা ভুল বা সাফল্যেই কেরিয়ার শেষ বা উত্থান। নম্বই মিনিট তাদের বিশ্রামের কোনও সুযোগ নেই। সব সময় তৈরি থাকতে হয়, সতর্ক থাকতে হয়। সেটা মাথায় রেখেই নিজেকে তৈরি করি।”
তিনি বলেন, “পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। স্ট্রাইকারের যেমন কাজ গোল করা তেমনই গোলকিপারের কাজ গোল বাঁচানো। তবে এখনও শেখার অনেক বাকি। প্রতিদিন অনুশলন করে নিজের খুঁতগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি।” ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এডারসনের ভক্ত বিশালের আইডল কিন্তু সুব্রত পাল। তাঁকে দেখেই গোলকিপিংয়ে আসা। এবার তাঁর মাথায় ঘুরছে আইএসএল ও সুপার কাপ। তাঁর মতে দুটো টুর্নামেন্ট জয়ের মতই দল হয়েছে মোহনবাগানের।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার