অলস্পোর্ট ডেস্ক: বাংলা দল সন্তোষ ট্রফি জয়ের সঙ্গে যেমন উচ্ছ্বসিত গোটা বাংলা তেমমনই একটা সংশয়ই দানা বাঁধতে শুরু করেছে সেখান থেকেই। এর পর কী? সবাই বড় দল পাবে, পেশাদারভাবে ফুটবল খেলতে পারবে আর টাকা রোজগার করতে পারবে , এমনটা হলফ করে বলা কখনওই সম্ভব নয়। দারুণ সাফল্য, রবি হাঁসদার মতো বাঙালি স্ট্রাইকারের উত্থান, এক কথায় নায়ক হয়ে ওঠা। কিন্তু এই স্টারডম ধরে রাখাটা ততটাই কঠিন। বছরের শেষদিন সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে হায়দরাবাদ থেকে পুরো বাংলা দল শহরে ফিরেছে বছরের প্রথম দিন। আর বিমান বন্দরে নেমেই ফুটবলাররা হাজার হাজার শুভেচ্ছার মধ্যেই বেঁচে থাকার জন্য যে সমর্থন দরকার সেটার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের চাই চাকরী। কথা রাখল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বৃহস্পতিবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রত্যেক প্লেয়ারের জন্য সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করে দিলেন। সঙ্গে পুরো দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা।
সন্তোষ ট্রফি জয়ী ফুটবলাররা এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই পুরো দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ও প্লেয়ারদের জন্য চাকরীর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সবার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ উপহার। মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষজয়ী দলের জন্য চাকরী ও পুরস্কার মূল্য ঘোষণার সঙ্গেই জনিয়ে দেন, প্লেয়ারদের এমন চাকরী দেওয়া হবে যাতে চাঁরা খেলায় মনোনিবেশ করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ফুটবলাররা।
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরালার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে জিতে সাত বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা দল। গত কয়েক মরসুমে বাংলার সন্তোষ ট্রফি অিযান মোটেও ভাল যায়নি। এবার কোচ সঞ্জয় সেনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সামনে একটাই লক্ষ্য ছিল, বিতর্ককে পিছনে ফেলে বাংলার ফুটবলে আবার সাফল্য ফিরিয়ে আনা, যাতে তারা সফল। এবার সেই লড়াইয়ের মূল্য পেলেন ফুটবলাররাও।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার