অলস্পোর্ট ডেস্ক: ওয়েস্টহ্যাম ফরোয়ার্ড মিশেল আন্তোনিও বলেছেন যে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভেঙে যায়, কিন্তু তিনি “১০০ শতাংশ” আত্মবিশ্বাসী যে তিনি আবার ফুটবল খেলবেন। ৭ ডিসেম্বর তাঁর ফেরারি গাছে ধাক্কা দেওয়ার পর এই জ্যামাইকান আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। “আমি শুধু জানি যে আমি গাছে ধাক্কা দিয়েছি,” তিনি বিবিসিকে বলেন। “আমি জানি না আমি কীভাবে গাছে ধাক্কা দিয়েছি, পুলিশ এসে যখন আমাকে গাড়িতে দেখতে পায়, তখন আমি দু’টি আসনের মাঝখানে আটকে ছিলাম।”
৩৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়, যার ২০১৯ সালেও একটি গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তিনি বলেছেন যে তাঁর ফিমারের হাড় চারটি জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তন নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই হয়েছিল।
“আমি যেখানে থাকা উচিত ছিল তার থেকে তিন মাস এগিয়ে আছি,” তিনি বলেন। “আমি পায়ে ১৩০ কেজি ওজন তুলেছি এবং আমি অন্যান্য কাজ করার চেষ্টা করছি এবং কেবল নিজের উপর মনোযোগ দিচ্ছি, তাই এটি অবশ্যই এখন একটি ভাল জায়গা এবং মানসিকভাবেও আমি ভাল জায়গায় আছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আমি মাঠে ফিরব। এই বিষয়টিতেই আমার মনোযোগ রয়েছে।”
অ্যান্টোনিও ওয়েস্ট হ্যামকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তবে জানুয়ারির শুরুতে ম্যানেজার জুলেন লোপেতেগুইকে বরখাস্ত করার এবং গ্রাহাম পটারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার সময় তিনি কীভাবে থেরাপির সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লড়াই করেছিলেন তা ব্যাখ্যা করেছেন।
“যদি আমি নিজেকে তাড়াহুড়ো করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি, সেখানে গিয়ে তাকে দেখানোর চেষ্টা করি যে আমি যখন শারীরিকভাবে ঠিক না থাকি তখন আমি কী করতে পারি, এটি আমাকে খারাপ অবস্থায় ফেলে দেবে কারণ আমি ঠিক থাকব না এবং আমি যা করতে চাই তা করতে পারব না,” তিনি বলেন।
প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা অ্যান্টোনিও স্বীকার করেছেন যে লন্ডনের কাছে দুর্ঘটনার পরে তাঁর খারাপ লাগা ছিল।
“অবশ্যই আমি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রায় মারা গিয়েছিলাম। এটি আমাকে কিছুটা বিব্রত করেছিল যে এটি এত খারাপ ছিল,” তিনি বলেছিলেন।
“শারীরিকভাবে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি কিন্তু মানসিকভাবে আঘাত দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। তাই, সবসময় এমন কিছু সময় আসবে যখন কিছু না কিছু আমাকে প্রভাবিত করবে,” শেষ করেন তিনি।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার
