অলস্পোর্ট ডেস্ক: শনিবার সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ফুটবলার আনোয়ার আলিকে নিয়ে ক্লাবগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তার সমাধানে বসেছিল। কিন্তু এদিনও তার কোনও সমাধান খুঁজে পাওয়া গেল না। ঝুলে থাকল আনোয়ারের খেলার ভাগ্য। বরং বিষয়ের জটিলতাগুলো থেকেই গেল।
কমিটি ২ অগস্ট, ২০২৪-এ হওয়া বৈঠকে উভয় পক্ষের কথা শুনে এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে আনোয়ার চুক্তিভঙ্গ করে অন্যায় করেছেন। এবং কোনও ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়াই চুক্তি ভাঙার চেষ্টা করেছেন। মোহনবাগানের সঙ্গে আনোয়ারের চুক্তি রয়েছে ২০২৭ পর্যন্ত। সেই অবস্থাতেই তিনি ইস্টবেঙ্গলে সই করার সিদ্ধান্ত নেন যা আইন বিরুদ্ধ। এবং অন্য ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ প্লেয়ারে চুক্তি করানোও অন্যায়, যা ইস্টবেঙ্গল করেছে। পুরো বিষয়টি দেখে স্বাভাবিকভাবেই বেকে বসেছে মোহনবাগান।
এবার বিষয়টি হল প্লেয়ারের ইচ্ছের। আনোয়ার যেহেতু জানিয়েছেন তিনি আর মোহনবাগানে খেলতে ইচ্ছুক নন সে কারণে দিল্লি এফসির সঙ্গে কথা বলতে চাইছে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। এদিকে, দিল্লি এফসি ও আনোয়ারের পক্ষ থেকে মোহনবাগানকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাতে জানানো হয়েছিল আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চান। পাশাপাশি দিল্লি এফসির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল একটি চুক্তি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যদি আনোয়ার ফ্রি প্লেয়ার হয় তাহলে তাঁকে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলে।
তবে আনোয়ার নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোনও মন্তব্য করেনি। প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি নিয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিতে চান। তবে আনোয়ারের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। সঙ্গে আনোয়ারকে ছাড়তে মোহনবাগানের কী দাবি সেটাও শুনবে কমিটি।
এআইএফএফ পিএসসি জুন ২০২১ (নিয়ম)-এর অনুযায়ী এআইএফএফ বিধিগুলির ৬.৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কমিটি দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল এফসিকে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়াও খেলোয়াড় এবং ক্লাবকে তাদের বক্তব্য জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৮ আগস্ট, ২০২৪-এর মধ্যে ক্ষতিপূরণ এবং অন্য কোনও যুক্ত বিষয়ে ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ বিষয়ে উত্তর দিতে বলেছে।
সমস্ত উত্তর পাওয়ার পর কমিটি ক্ষতিপূরণের সমস্যা অথবা ঋণ চুক্তির সমাপ্তির ফলে উদ্ভূত অন্য কোনও কারণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার