অলস্পোর্ট ডেস্ক: ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তির ফাইনালে পৌঁছনো সত্ত্বেও ভারতীয় কুস্তিগির ভিনেশ ফোগত কোনও পদক ছাড়াই দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন৷ মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকার কারণে ভিনেশকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং তাঁকে ফাইনালে নামতে দেওয়া হয়নি, পাশাপাশি ফাইনালে পৌঁছে যে পদক তিনি নিশ্চিত করেছিলেন সেটাও দেওয়া হয়নি। যা ভারতের খেলাধুলোর জন্য বড় ধাক্কা ছিল। ভিনেশ কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অফ স্পোর্টে (সিএএস) সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার পরে রুপো পাওয়ার আশা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই রায়ও তাঁর বিরুদ্ধে যায়। যদিও প্যারিস গেমস তাঁর ক্যারিয়ারে বেশ নাটকীয় এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। কিন্তু দেশে ফেরার পর তিনি বিজয়ীর সম্মানই পেয়েছেন যা একজন পদক জয়ীর পাওয়ার কথা।
যদিও ভিনেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও পদক পাননি তবে প্যারিস গেমস তাঁর পারফর্মেন্স দেখেছে। যা ভারতীয় কুস্তির জন্য রেকর্ড ছিল। ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্যারিস গেমসের আগে বিজ্ঞাপনের জন্য যে অর্থ তিনি পেতেন তার তুলনায় একটি এনডোর্সমেন্ট চুক্তির জন্য ভিনেশের ফি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাঁর সমস্ত ব্র্যান্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভিনেশ, যিনি ২০২৪ অলিম্পিকের আগে প্রতিটি অনুমোদন চুক্তির জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা চার্জ করেছিলেন, এখন একটি একক ব্র্যান্ড থেকে ৭৫ লক্ষ এবং ১ কোটি চাইছেন৷
অন্যদিকে অলিম্পিকে ভারতকে পদক এনে দেওয়া মানু ভাকর ও নীরজ চোপড়ারও ব্র্যান্ড ভ্যালু স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে।
মানু ভাকের প্যারিস গেমসে দু’টি ব্রোঞ্জ পদক জেতেন, নীরজ একমাত্র ক্রীড়াবিদ যিনি রুপো নিয়ে দেশে ফিরেছেন। চোপড়া প্যারিস গেমসে তাঁর সোনা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন, তাঁর ব্র্যান্ডের মান এখনও ৩০-৪০% বেড়েছে, যা আমেরিকান ডলারে ৪০ মিলিয়ন বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩০ কোটিতে পৌঁছেছে।
মানুর ব্র্যান্ড ভ্যালুও বেড়েছে, তাঁ ঝুলিতে এসেছে ১.৫ কোটি টাকার থাম্বসআপ৷ প্যারিস গেমসের আগে, একক অনুমোদনের জন্য মানু প্রায় ২৫ লাখ টাকা প্রতি চুক্তিতে নিতেন। তাঁর অলিম্পিক পারফর্মেন্সের সৌজন্যে এই ছবিটি ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার