Thursday, March 20, 2025
No menu items!
Google search engine
Homeঅন্য খেলাভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে স্পোর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অভিনব উদ্যোগ এলজিবিটিকিউ ক্রীড়াবিদদের জন্য

ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে স্পোর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অভিনব উদ্যোগ এলজিবিটিকিউ ক্রীড়াবিদদের জন্য

সুচরিতা সেন চৌধুরী: খেলা নিয়ে সিনেমা, এক অভিনব উদ্যোগ। কলকাতার বুকে নন্দনে চলছে সেই স্পোর্টস সিনেমা ফেস্টিভ্যাল। দেশ, বিদেশের খেলা নিয়ে তৈরি সিনেমা দেখানো হচ্ছে এই উৎসবে। তাঁর পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেমিনার। যা অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিল শুক্রবারের সেমিনার। এই সিনেমা উৎসবের একটি দিন রাখা হয়েছিল এলজিবিটিকিউ-দের জন্য। তাদের লড়াইকে সিনেমার পর্দায় ধরে রাখা থেকে তাদের মতামতকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা করেছে আয়োজকরা।

এদিন নন্দন থ্রি প্রেক্ষাগৃহে এলজিবিটিকিউ ক্রীড়াবিদদের লড়াই, তাদের উত্থান, তাদের সাফল্য, ব্যর্থতার একটা চিত্র উঠে এসেছিল এদিনের সেমিনারে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘আই অ্যাম বনি’ সিনেমার পরিচালক সৌরভ ও প্রাক্তন অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিক। যার জীবন আস্ত একটা সিনেমা। তাঁর জীবন‌ নিয়ে কখনো নিশ্চয়ই তৈরি হবে সিনেমা। এদিন এই সেমিনারের সূত্রধরের ভূমিকায় ছিলেন সাংবাদিক শুভপম সাহা।

এদিন আলোচনার মূল বিষয়ই ছিল কীভাবে এলজিবিটিকিউদের সম্পর্কে সমাজের মানসিকতাকে উন্নত করা যায়। পিঙ্কি বলছিলেন কীভাবে আসপাশের পরিবেশ বদলালেই সহজ হয়ে যাবে তাঁদের জীবন। তিনি বলেন, “সবার আগে পরিবার, বাবা-মায়েদের বুঝতে হবে। যাদের পরিবারে এলজিবিটিকিউ সদস্য রয়েছে, তাদের পাশাপাশি যাদের নেই তিলের বেশি করে পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে হবে এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। আমরাও মানুষ, তাদের মতো। তবেই ভবিষ্যৎ স্বাভাবিক হবে।”

তাঁর জীবন বদলে যাওয়া মুহূর্ত এসেছিল ২০১২ সালে। কেটে গিয়েছে ১৫ বছর। কিন্তু সেই ক্ষত একটুও শুকোয়নি। আজও সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে পিঙ্কির। একটু থেমে আবার বলেন, “একটা সময় আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। তখন দেখলাম সবাই আমার বিরুদ্ধে নয়, অনেকেই ভালবাসে। সেটাই আমাকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা দিয়েছে। সঙ্গে প্রথম দিন থেকে আমার পরিবার আমার পাশে ছিল।”

ঠিক উল্টোটাই ছিল বন্দনা পালের জীবনে। যাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল সিনেমা। কিন্তু তার পরও তাঁর জীবনের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এক শহর থেকে অন্য শহর, এক গ্ৰাম থেকে অন্য গ্ৰামে শুধু ছুটে বেড়িয়ে হচ্ছে তাঁকে। পিঙ্কি সরকারি চাকরি পেলেও বন্দনার ভাগ্যে সেটাও জোটেনি। তবে পরিচালক বলছিলেন, “সিনেমা দেখার পর বন্দনার পরিবার তাঁকে ফিরিয়ে নিয়েছে।” তবে এটাই সব নয়। বাঁচতে গেলে সংস্থান চাই, যা এখনও পাননি তিনি। চাই মানসিকতার বিকাশ। চাই খেলার মাঠের সাম্যতা। এদিনের মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই দিয়ে গেলেন সবাই। সে তিনি ক্রীড়াবিদ হোক বা সিনেমা পরিচালক বা ক্রীড়াপ্রেমী জনতা।

খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com

অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments