অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এ ভারতের হয়ে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে ১০০ গ্ৰাম ওজন বেড়ে যাওয়ায়। তাঁর পর থেকেই চলছে বিতর্ক। পুরো বিষয়টি এই মুহূর্তে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবারই তার দায় আসার কথা। তাতে ঠিক হয়ে যাবে ভিনেশ ফোগত রূপো পাচ্ছেন কিনা। ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তি প্রতিযোগিতায় প্যারিস গেমসের সোনার পদক ম্যাচ থেকে এই কুস্তিগীরকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর দেশে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু কুস্তিগীর এই ফলাফলকে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস)-এ চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার প্রত্যাশিত রায় ঘোষণার আগে, জানা গিয়েছে যে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং (UWW) নিয়ম দেখিয়ে ভিনেশের আবেদনের বিরোধিতা করছে।
বিশ্ব রেসলিং-এর রুলবুকে কিছু ফাঁক রয়ে গিয়েছে যা ভিনেশের পক্ষে রায় দিতে পারে।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রেসলিং বডি পরামর্শ দিয়েছে যে ১০০ গ্রাম, যে ব্যবধানে ভিনেশ ওজনে ব্যর্থ হয়েছিল, তাকে উপেক্ষা করা যায় না। যেহেতু নিয়মে এই অনুমতি দেয় না, ভিনেশের সঙ্গেও কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না৷ তাই, ভারতীয় কুস্তিগীরকে বাউটে রৌপ্য পদক দেওয়া যাবে না।
তবে, বিশ্ব রেসলিং বডির রুলবুকেও একটি বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, যে ব্যক্তি রিপেচেজ দাবি করে সে-ই ফাইনালিস্টের কাছে হেরে যায়। ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল রেসলিং ফাইনালে, জাপানের ইউই সুসাকিকে রেপেচেজ রাউন্ডে ব্রোঞ্জ পদকের জন্য লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী, ব্যর্থ ওজনের ভিত্তিতে স্বর্ণপদক ম্যাচ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করায় ভিনেশ ফাইনালিস্ট নন।
ফাইনাল খেলা হয়েছিল কিউবার ইউসনেলিস গুজম্যান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সারা হিলডেব্র্যান্ডের মধ্যে। তাহলে, কিসের ভিত্তিতে সুসাকিকে রেপিচেজে প্রতিযোগিতার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? যদি নিয়মগুলি দেখা হয়, সুসাকিকে রিপেচেজ খেলার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল না, তবে এটি হয়েছে।
লজিক মানলে সুসাকির রিপেচেজ যুদ্ধের অংশ হওয়া উচিত নয় কারণ ভিনেশের নিয়ম মেনেই বিদ দেওয়া হয়েছিল, বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কিন্তু, ব্যাপারটা এমন ছিল না।
রায় ঘোষণার আগে মঙ্গলবার যখন সিএএস-এর চূড়ান্ত শুনানি হবে তখন ভারতীয় শিবির কীভাবে এটিকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার