অলস্পোর্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে হারের পর আমন সেহরাওয়াতের ওজন ছিল ৬১.৫ কেজি যা পুরুষদের ৫৭ কেজিতে অনুমোদিত সীমার থেকে ঠিক ৪.৫ কিলোগ্রাম বেশি। আবার একটা আতঙ্ক চেপে বসেছিল ভারতীয় কুস্তির মাথায়। ভিনেশ ফোগতের ঘটনা যে এখনও টাটকা। এর পরই শুরু হল লড়াই। পরের ১০ ঘন্টার মধ্যে তিনি ৪.৬ কেজি ওজন কমান যা তাঁর সঙ্গে তাঁর ভারতীয় কোচদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।
সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে জাপানের রেই হিগুচির কাছে সেমিফাইনালে হেরে যান ২১ বছর বয়সী আমন। তাঁর পর নষ্ট করার মতো সময় ছিল না তাঁর কাছে।
‘মিশন’ শুরু হয়েছিল দেড় ঘণ্টার ম্যাট সেশনের মধ্যে দিয়ে। যার মধ্যে দুই সিনিয়র কোচ তাঁকে কুস্তির অনুশীলন করান এবং এর পরে এক ঘণ্টার হট-বাথ সেশন শুরু হয়।
১২:৩০-এ তারা জিম সেশন শুরু করে, যেখানে আমন ট্রেডমিলে এক ঘন্টা কোনও ব্রেক না নিয়ে দৌড়েছেন।
ঘাম ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তারপরে তাঁকে ৩০ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়েছিল, তারপরে পাঁ মিনিটের সনা স্নানের পাঁচটি সেশন দেওয়া হয়।
শেষ সেশনের শেষে, আমনের ওজন তখনও ৯০০ গ্রাম বেশি ছিল। তাঁকে ম্যাসাজ করানো হয় এবং তারপর প্রশিক্ষকরা হালকা জগিং করতে বলেন।
এটি ১৫ মিনিটের পাঁচটি সেশনে করা হয়েছিল। ভোর ৪:৩০ নাগাদ, আমনের ওজন ছিল ৫৬.৯ কেজি — ১০০ গ্রাম কম। তখন কোচ এবং কুস্তিগীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
এই সেশনগুলির মধ্যে, আমনকে লেবু এবং মধু দিয়ে হালকা গরম জল এবং খানিকটা কফি পান করানো হয়েছিল।
এর পর আমন অবশ্য ঘুমাননি। সারা রাত রেসলিং বাউটের ভিডিও দেখেছেন। এর পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টায় তার ওজন পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর প্রশিক্ষকরাও সারা রাত ঘুমাননি, এমনকি দিনেও না। শেষ পর্যন্ত এত লড়াই ফল দিয়েছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার