অলস্পোর্ট ডেস্ক: সাত্ত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টির শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় পুরুষদের ডাবলস জুটি ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন (বিডব্লিউএফ) ব্যাডমিন্টন বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ভারতীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ কাটানোর জন্য সাইনা নেহওয়ালের রেকর্ডকে ছাঁপিয়ে গেল। হার্ড-হিটিং জুটি, যারা ২০২২ থেকে বেশ কয়েকটি ল্যান্ডমার্ক বিডব্লুএফ খেতাব এবং অন্যান্য চ্যাম্পিয়নশিপ জয়/পদক অর্জন করেছে। ১০ সপ্তাহ ধরে শীর্ষে রয়েছে এই জুটি। অলিম্পিক ডটকম অনুসারে নেহওয়াল, যিনি আগের রেকর্ডটির মালিক ছিলেন, তিনি ১৮ অগস্ট, ২০১৫-তে শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন এবং ২১ অক্টোবর, ২০১৫ পর্যন্ত নয় সপ্তাহ সেই জায়গা ধরে রেখেছিলেন।
এশিয়ান গেমসের চ্যাম্পিয়নরা চায়না ওপেন, মালয়েশিয়া ওপেন এবং ইন্ডিয়া ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর এই বছর শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। ফরাসি ওপেনে শিরোপা জয় তাঁদের এক নম্বর র্যাঙ্কিংয়ের জায়গা শক্ত করতে সাহায্য করেছে।
র্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় পূর্ববর্তী ৫২ সপ্তাহে একজন খেলোয়াড় জুটির ১০টি সর্বোচ্চ স্কোরিং ইভেন্টকে বিবেচনা করে।
বর্তমানে, লিডারবোর্ডে চিরাগ-সাত্ত্বিকের নামে ১,০২,৩০৩ পয়েন্ট রয়েছে এবং তারা কাং মিন হিউক এবং সিও সেউং জায়ের দ্বিতীয় র্যাঙ্কের দক্ষিণ কোরিয়ার জুটির থেকে ৫০০০ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে, হ্যাংঝৌতে এশিয়ান গেমসে তাদের জয়ের পর, ‘সাত্ত্বিক-চিরাগ’ প্রথম ভারতীয় ডাবলস জুটি হয়ে ওঠে যারা বিডব্লুএফ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে। তবে তারা মাত্র তিন সপ্তাহ ধরে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছিল।
পুরুষদের একক বিভাগে, কিদাম্বি শ্রীকান্ত এপ্রিল ২০১৮-তে শীর্ষে পৌঁছেছিলেন কিন্তু সেখানে মাত্র এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পেরেছিলেন।
কিংবদন্তি শাটলার প্রকাশ পাড়ুকোন, প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯৮০-তে মর্যাদাপূর্ণ অল ইংল্যান্ড ওপেন শিরোপা জিতেছিলেন, তাঁকে তাঁর সেরা সময়ে এক নম্বর হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, কিন্তু কম্পিউটারাইজড র্যাঙ্কিং পয়েন্ট সিস্টেম অনেক পরে এসেছে।
এদিকে শুক্রবার মাদ্রিদ স্পেন মাস্টার্স সুপার ৩০০ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মহিলাদের একক কোয়ার্টার ফাইনালে থাইল্যান্ডের সুপানিদা কাথেথং-এর কাছে হারতে হল ভারতের পিভি সিন্ধুকে। যা স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে হতাশার ছিল। সিন্ধু, যিনি ২০২৩-এ রানার্সআপ হয়েছিলেন, শুরুর দিকে ৪-৮-এ পিছিয়ে থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ষষ্ঠ বাছাই থাই থাই প্রতিযোগী ২৪-২৬, ২১-১৭ ও ২২-২০-এ ম্যাচ জিতে নেন।
শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। হারের পর র্যাকেট ছুঁড়ে ভেঙে ফেলেন। চেয়ার আম্পায়ার তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান। একটি হলুদ কার্ড অসদাচরণের জন্য সতর্কতা মাত্র।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার