অলস্পোর্ট ডেস্ক: মহারাষ্ট্র সরকার গত সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ চার ভারতীয় ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিয়েছে। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে এবং যশস্বী জয়সওয়ালকে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার সম্মানিত করেছে। ভারতীয় শাটলার চিরাগ শেট্টি সমস্ত খেলার সঙ্গে সমান আচরণ না করার জন্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন এবং ২০২২ সালে থমাস কাপ বিজয়ী ভারতীয় দলের অংশ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে সম্মানিত করা হয়নি তা তুলে ধরেছেন।
চিরাগ, যিনি বিশ্বের এক নম্বর প্লেয়ার হয়েছেন। গত বছর বিডব্লুএফ পুরুষদের দ্বৈত র্যাঙ্কিং-এ তার সঙ্গী সাত্ত্বিকসাইরাজ র্যাঙ্কিরেড্ডির সঙ্গে দেশের হয়ে সেরাটা দিয়ে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। জোর দিয়েছেন যে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে তাঁর কিছু না থাকলেও সরকারের উচিত সমস্ত খেলার সঙ্গে সমান আচরণ করা।
“থমাস কাপ বিশ্বকাপ জেতার সমতুল্য। আমি ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের অংশ ছিলাম যেটি তার প্রথম শিরোপা জিতেছিল, ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল। ভারতীয় দলে আমিই একমাত্র মহারাষ্ট্রের খেলোয়াড় ছিলাম। যখন সরকার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট তারকাদের সম্মান জানাতে পারে তখন আমার প্রচেষ্টাকেও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। সরকারের অন্য যে কোনও খেলার সাথে সমান আচরণ করা উচিত,” টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিরাগ বলেছেন।
চিরাগ আরও তুলে ধরেছেন যে কীভাবে ভারত ২০২২ সালের আগে থমাস কাপের সেমিফাইনালেও যেতে পারেনি।
“ক্রিকেটের বিরুদ্ধে আমার কিছুই নেই। আমরা সকল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা টিভিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল লাইভ দেখেছি এবং উৎসাহের সাথে উদযাপন করেছি। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের চাঞ্চল্যকর জয়ের জন্য আমরা খুশি এবং গর্বিত। একইভাবে, আমরাও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি কয়েক বছর আগে, কিন্তু রাজ্য সরকার আমাকে অভিনন্দনও জানায়নি। ২০২২ সালের আগে কোনও ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল কখনও সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি তবে আমরা শিরোপা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলাম।”
চিরাগ এবং সাত্বিক এই বছর প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নেবেন, এই জুটি দেশের হয়ে পদক জেতার মূল দাবিদার।
এই জুটি মালয়েশিয়ান সুপার ৭৫০ এবং ইন্ডিয়া সুপার ৭৫০-এ ফাইনালে পৌঁছেছিল এবং এই বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং থাইল্যান্ড ওপেন জিতেছে।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার