অলস্পোর্ট ডেস্ক: প্রাক্তন ভারতীয় কুস্তিগির ভিনেশ ফোগত ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে বিশ্বের এক নম্বর এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ইউই সুসাকিকে পরাজিত করে তাঁর লক্ষ লক্ষ সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন। অলিম্পিক গেমসের ফাইনালে প্রবেশ করা ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হয়েও ভিনেশ ইতিহাস রচনা করেছেন। কিন্তু এই সাফল্যের শেষ হয়েছে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার মধ্যে দিয়ে। ভিনেশকে ১০০ গ্রাম বেশি ওজনের জন্য তাঁর স্বর্ণপদক ম্যাচের সকালে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। তাঁকে শুধু স্বর্ণপদকের ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি পাশাপাশি নিশ্চিত হয়ে যাওয়া রুপোও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
ভিনেশ কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস)-এ একটি আপিলও দায়ের করেছিলেন, যেখানে তিনি মহিলাদের ৫০ কেজি ইভেন্টে যৌথ-রুপো দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে, সিএএস দ্বারা তার আবেদন খারিজ করা হয়, যখন তাদের রায়ের বিশদ বিবরণ এই মাসের শেষের দিকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেষ আশা টুকুও এখানে শেষ হয়ে যায় ভিনেশে তথা পুরো দেশের জন্য।
একটি ফেসবুক পোস্টে, প্যারিস অলিম্পিকে ভিনেশের কোচ ওলার আকোস বলেছেন, তাঁর এক সময় মনে হয়েছিল, সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার তীব্র ওজন কমানোর চেষ্টার শেষে কুস্তিগিরের “মৃত্যুও হতে পারে”। পরে অবশ্য সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
“সেমিফাইনালের পরে, ২.৭ কেজি বাড়তি ওজন হয়ে গিয়েছিল; আমরা এক ঘন্টা ২০ মিনিট ব্যায়াম করেছি, কিন্তু ১.৫ কেজি তখনও রয়ে গিয়েছিল। পরে ৫০ মিনিটের সওনার পরে, তার গায়ে এক ফোঁটা ঘাম দেখা যায়নি। এর পর মধ্যরাত থেকে সকাল ৫:৩০ পর্যন্ত, তিনি বিভিন্ন কার্ডিও মেশিন এবং কুস্তি অনুশীলন করেন, দুই-তিন মিনিটের বিশ্রাম নিয়ে তিনি আবার শুরু করেন। ও কোলাপস করে গিয়েছিল কোনওরকমে আমরা তাকে উঠিয়েছিলাম, এবং তার পর এক ঘণ্টা কাটিয়েছিল সওনাতে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে নাটকীয় বিবরণ লিখছি না, তবে আমার মনে হয়েছিল যে সে রাতে সে মারা যেতে পারত, “আকোস একটি পোস্টে লিখেছেন যা তিনি পরে মুছে দিয়েছেন।
ডিহাইড্রেশনের কারণে তাঁর চূড়ান্ত লড়াইয়ের সকালে ভিনেশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় ভিনেশ তাকে যা বলেছিলেন তার উপরও আলোকপাত করেছেন তিনি।
“সেই রাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে আমাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল। ভিনেশ ফোগত বলেছিলেন, ‘কোচ, দুঃখ করবেন না কারণ আপনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি যদি নিজেকে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পাই এবং অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় তবে আমার মনে করা উচিত যে আমি সেরা কুস্তিগিরকে হারিয়েছি। বিশ্বের সেরা মহিলা কুস্তিগির (জাপানের ইউই সুসাকি)কে হারিয়ে আমি প্রমাণ করেছি যে আমি বিশ্বের সেরাদের একজন। পদক, পোডিয়াম এক একটা বস্তু, পারফর্মেন্স কেড়ে নেওয়া যাবে না” তিনি যোগ করেছেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার