অলস্পোর্ট ডেস্ক: রবিবার নবি মুম্বইয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে টিম ইন্ডিয়া ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হরমনপ্রীত কৌর এবং তাঁর দল ৫২ রানের বিশাল জয় নিশ্চিত করে। তবে, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে সবচেয়ে বড় পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েকটি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। কয়েক দশক আগে, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএআই) তীব্র আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আন্তর্জাতিক সফরের জন্য পর্যাপ্ত টাকা জোগার করা।
এখানেই নাম উঠে আসছে বলিউড অভিনেত্রী মন্দিরা বেদীর। যে গল্প খুব বেশি মানুষ জানে না, যিনি ২০০৩-এ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই লড়াইয়ের সময় একজন অদৃশ্য পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট সম্প্রচারের প্রথম মহিলা মুখদের একজন তিনিই ছিলেন সেই সময়, আর সেই কঠিন সময়ে মেয়েদের দলের স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন।
তাঁর সবচেয়ে প্রভাবশালী অবদানের মধ্যে একটি ছিল যখন তিনি একটি হীরের গয়নার বিজ্ঞাপনের কাজ করেছিলেন এবং তাঁর সম্পূর্ণ প্রাপ্য অর্থ মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে দান করেছিলেন। তাঁর এই পদক্ষেপ ভারতীয় মহিলা দলকে সেই বছর ইংল্যান্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের জন্য বিমানে টিকিট জোগারের রাস্তা দেখিয়েছিল।
চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর ভূমিকার জন্য খ্যাতি পেয়েছেন মন্দিরা বেদি। কিন্তু তিনি সব থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছেন খেলার মাঠের পরিচালনায়। শুধু নিজের কাজ করে সেদিন তিনি থেমে যাননি বরং পারিশ্রমিক দিয়ে একটা ভারতীয় দলকে বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলতে পাঠিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয় ভারতে মহিলা ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার জন্য সফলভাবে টাকার জোগানের জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন।
ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের ছোট বোন নুতন গাভাস্কারও মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রাথমিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
“ভারতের মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছিল এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় দল নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, এর পর বিসিসিআই অবশেষে মহিলাদের খেলাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পিছনে ফিরে তাকালে, সেই দিনগুলিতে অর্থ ছিল না, কিন্তু মহিলারা খেলার আবেগ এবং ভালোবাসার জন্য খেলেছেন,” নুতন পিটিআইকে বলেন।
আন্তর্জাতিক সফরের জন্য টাকা সংগ্রহ করা প্রায়শই একটি কঠিন পরীক্ষা ছিল। “নিউজিল্যান্ডে একবার এমন একটা সফর হয়েছিল যেখানে আমরা মেয়েদের হোটেলে থাকার খরচ বহন করতে পারিনি। আমাদের দল অনেক ভালো এনআরআই পরিবারের বাড়িতে থেকেছে যারা তাদের আতিথেয়তা দিয়েছিল। আরেকবার মন্দিরা বেদী একটি বিখ্যাত হীরা ব্র্যান্ডের জন্য একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছিলেন এবং তার পুরো এনডোর্সমেন্ট ফি অ্যাসোসিয়েশনকে দান করেছিলেন। সেই অর্থ আমাদের ভারতের ইংল্যান্ড সফরের জন্য বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করেছিল,” নুতন বলেন।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন: ফেসবুক ও টুইটার





