অলস্পোর্ট ডেস্ক: আনন্দ করার খেসারত দিতে হল এফসি গোয়াকে। তাও সমর্থকদের জয়ের উৎসব পালনের কারণে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু প্লে অফে ওমানের আল সিবের বিরুদ্ধে জয়ের পর মারগাঁওয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার সমর্থকের একাংশ স্মোক গান থেকে রঙিন ধোঁয়া উড়িয়ে উল্লাসে মেতেছিলেন। নির্ভেজাল আনন্দ করার জন্য এফসি গোয়াকে ৮.৮ লাখ টাকা জরিমানা করল এএফসি শৃঙ্খলারক্ষাকারী ও এথিক্স কমিটি।
জয়োল্লাস করার জন্য গোয়ার যেখানে এই অবস্থা, তাহলে ইরানে গিয়ে ম্যাচ না খেলার জন্য মোহনবাগান এসজির কপালে আরও বড়রকমের শাস্তি ও জরিমানা যে অপেক্ষা করে আছে, সেটা বলাই বাহুল্য। জরিমানার পরিমান গোয়ার থেকে অনেক বেশি তো হবেই, একইসঙ্গে ২ থেকে ৩ বছরের নির্বাসন আশ্চর্যের নয়। গত বছর এসিএল ২ থেকে বাতিল হওয়ায় শাস্তিতেই রেহাই পেয়েছিল বাগান। এবার এত সহজে রেহাই মিলবে না। অতীতে জাপানের জুবিলি আইওয়াতার সঙ্গে হোম ম্যাচ আয়োজন করতে না চাওয়ায়, জরিমানার সঙ্গে ৩ বছরের নির্বাসনের মুখে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগানকে।
আর্টিকল ৬৪ ও ৬৫র নিয়ম ভাঙার অপরাধে এফসি গোয়াকে শাস্তি দিয়েছে এএফসি শৃঙ্খলারক্ষাকারী ও এথিক্স কমিটি। ম্যাচ আয়োজনের ত্রুটির কারণে আর্টিকল ৬৪ ও মাঠে বিশৃঙ্খল আচরণ, যাঁর মধ্যে মিসাইল ছোঁড়া, লেসার রশ্মির প্রয়োগ, অথবা ওই ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করার আর্টিকল ৬৫র নিয়ম মেনে ক্লাব অথবা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে এএফসি।
ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট অনুযায়ী ওমানের আল সিবের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে মারগাঁয়ের স্টেডিয়ামের গ্যালারির পূর্ব দিকের দর্শকাসনে রঙিন ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ক্লাবের তরফে এফসি গোয়ার সিইও রবি পুস্কার জানান, ‘ এটা একটা আনন্দের বহির্প্রকাশ ছিল মাত্র সমর্থকদের জয়ের কারণে। কোনও বাজি,পটকা বা বিপজ্জনক কোনও বস্তু নয়। নিতান্তই নিরীহ পাইরোটেকনিক নয় এমন একটা স্মোকগান থেকে বেরুনো ধোঁয়া। যা থেকে কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল না। কিছু ক্ষতি হয়ওনি।’
পুস্কর এটাও বলেন, ‘ এমন কিছু হবে, সেটা আমাদের ধারনার মধ্যে ছিল না। যখনই আমরা লক্ষ্য করেছি স্মোকগান থেকে ধোঁয়া বেরুনোর বিষয়টি,সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এর জন্য কারও কোনও চোট লাগেনি, ম্যাচেও প্রভাব ফেলেনি।’
কিন্তু পুস্করের কথায় চিঁড়ে ভেজেনি। এএফসি শৃঙ্খলারক্ষাকারী ও এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ইরানের জাহাঙ্গীর বাগলারি এফসি গোয়াকে ৮.৮ লাখ টাকা জরিমানা বাবদ মেটাতে বলেছে ৩০ দিনের মধ্যে। নইলে শাস্তির পরিমান বাড়বে।
মোহনবাগানের বিষয়টাও এখন রয়েছে এএফসি শৃঙ্খলারক্ষাকারী ও এথিক্স কমিটির এক্তিয়ারে। ইতিমধ্যে তুর্কমেনিস্তানের দল আহাল এফকে এএফসির কাছে আবেদন করে অনুমতি পেয়েও গেছে ইরানের সেপাহানের মাঠে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ দুটোই খেলার। এরপর যে ইরানের সেপাহানের বিরুদ্ধে ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের মাঠে ম্যাচ খেলতে না যাওয়ায় জাঙ্গাগীর বাগলারি ও তাঁর কমিটির দেওয়া বড়রকম শাস্তির সম্মুখীন হবে মোহনবাগান, সেটা বুঝতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
খেলার খবরের জন্য ক্লিক করুন: www.allsportindia.com
অলস্পোর্ট নিউজের সঙ্গে থাকতে লাইক আর ফলো করুন:ফেসবুক ও টুইটার